আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে পাথরঘাটায় রাস্তার কাজ বন্ধ করে রেখেছে যুবলীগ নেতা
ল
বরগুনার পাথরঘাটায় প্রায় ৪ কিলোমিটার ইটের সলিং রাস্তার কাজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে ।কার্যাদেশের মেয়াদ শেষ হলেও শেষ হয়নি রাস্তার কাজ। এতে ৎভোগান্তিতে রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক যুবলীগ নেতা হওয়ায় এক প্রকার আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে কাজ বন্ধ করে রেখেছেন। এবিষয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির হোসেন মোল্লা পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন এর মাধ্যমে দ্রুত রাস্তার কাজ সমাপ্ত এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসী দাবী করেন, চরদুয়ানি ইউনিয়নের গাব্বাড়ীয়া,ছোট টেংরা,পশ্চিম মঠেরখাল ও পূর্ব মঠেরখালসহ একাধিক গ্রামের
কয়েক হাজার সাধারণ মানুষসহ জ্ঞানপাড়া খলিফারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়,তাফালবাড়ীয়া ছালামিয়া দাখিল মাদ্রাসা,হাতেমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়,গাব্বাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,নেগাবানবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব মঠেরখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব মঠেরখাল কমিউনিট ক্লিনিক, মঠেরখাল কওমি মাদ্রাসাসহ অন্তঃত ১০টি শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগন খালিফার হাট সহ পাথরঘাটা বাজারে চলাচল করে থাকেন। কিন্তু রাস্তার কাজ না করার কারনে এসব এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে পরেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা উল্লেখ করেন ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ৩ কোটি ১৬ লাখ ৮ হাজার ২ শত ২৯ টাকা ৯১পয়সা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় যা ২০১৯ সালের ২জুলাই এর মধ্যে সম্পূর্ন কাজ শেষ করার কথা থাকলেও রাস্তা উন্নয়নের নামে, রাস্তায় থাকা ইট তুলে নিয়ে অন্য রাস্তায় ব্যবহার করে এবং রাস্তার মাঝখান থেকে ২ফুট গভীর ১০ ফুট প্রস্থ বেট কেটে শুধু লোকাল বালি ফেলে রেখেছে উক্ত ঠিকাদার।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুবকর মোল্লা, আবদুল কাদের মৌলভী ও গ্রাম্য ডাক্তার জাকির হোসেন বলেন, কাজের মেয়াদ শেষ হলেও রাস্তার কাজ শেষ হয়নি। আমাদের মনে হচ্ছে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক সরকারে বড় হর্তা-কর্তা। জ্ঞানপাড়া খলিফারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাইদ ইকবাল, মোঃ সৈকত বলে, এই রাস্তাদিয়ে স্কুলে যাইতে হয়, এর চেয়ে আগের
রাস্তাই ভাল ছিল।
এব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী চন্দন কুমার চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার পক্ষথেকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের ব্যাপারে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, এখন আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এব্যাপারে এলজিইডি বরগুনা অফিসের নির্বাহী
প্রকৌশলী ফোরকান আহমেদ খান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঠিকাদার রেজাউল করিম এটম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিভিন্ন সমস্যার কারনে রাস্তাটির উন্নয়নের কাজ করতে বিলম্ব হয়েছে তবে এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করব।