আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ২১৮ জনের মধ্যে ১৪৯ জন প্রবাসীর হদিস পাচ্ছে না স্বাস্থ্য বিভাগ
এম এ সাইদ খোকন, আমতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় বিদেশ ফেরত ২১৮ জন প্রবাসীর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে ৬৯ জনের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করেছেন। ৬৯ জনের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা গেলেও বাকী ১৪৯ জন প্রবাসীর কোন হদিস পাচ্ছে না দু’উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। নিখোঁজ ১১৯ জন প্রবাসীকে নিয়ে চিন্তিত দু’উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে, গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত ২১৮ জন প্রবাসী বিদেশ থেকে আমতলী ও তালতলী উপজেলার নিজ নিজ এলাকায় ফিরেছেন বলে বরগুনা সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানানো হয়েছে। বিদেশ ফেরতের সংখ্যা জানানো হলেও তাদের সুনির্দিষ্ট নাম ঠিকানা জানানো হয়নি। আবার অনেকের নাম ঠিকানা থাকলের সেখানে গিয়ে তাদের খুজে পাওয়া যায়নি। ফলে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিরা হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন কিনা তা জানার কোনো উপায় নেই। এ অবস্থায় দু’উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ তাদের মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেশে ফেরা ৬৯ জন ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছেন। কোয়ারেন্টিনে থাকা এই ৬৯ জনের মধ্যে থেকে রবিবার পর্যন্ত ২২ জনের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে। বর্তমানে দু’উপজেলার মোট ৪৭ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
এছাড়া নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে না পেরে ও ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনের থাকার সময় পার হয়ে যাওয়ায় অনেককেই হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। তবে ঠিকানা সংগ্রহ করতে না পারা নিখোঁজ ১৪৯ জনকে নিয়ে শঙ্কিত স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগসহ সাধারণ মানুষ। এদের অনেকেই ঝামেলা এড়াতে নিজ পরিচয় গোপন করে ভিন্ন জায়গায় গিয়ে বসবাস করছেন ও অবাদে চলাফেরা করছেন। আবার কেউ কেউ নিজ ঠিকানায় থেকেও হোম কোয়ারেন্টিন অমান্য করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ীতে দাওয়াত খাচ্ছেন।
দু’ উপজেলার সচেতন মানুষের ধারনা স্থানীয় প্রশাসন কঠোর অবস্থান না নিলে দেশে ফেরা প্রবাসীদের মধ্যে থেকে কারো দ্বারা করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, বিদেশ ফেরত ২১৮ জনের মধ্যে আমরা ৬৯ জনের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় নিয়ে এসেছি। তবে হদিস না পাওয়া ১৪৯ জনকে নিয়ে আমরা খুবই চিন্তার মধ্যে আছি।