মঠবাড়িয়ায় যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নির্মম নির্যাতন ॥ থানায় মামলা
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বামীর দাবীকৃত যৌতুকের ১০ লাখ টাকা দিতে না পারায় হোমিও চিকিৎসক স্ত্রী আসমা আক্তার (৩৩) কে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে হারুন হাওলাদার (৪৫) নামে এক পাষন্ড স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আসমা আক্তার বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে মঠবাড়িয়া থানায় স্বামী, দেবর, ননদ ও শ^শুরকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, মঠবাড়িয়া পৌর শহরের পূর্ব লেন সবুজ নগর এলাকার আ. রহমান তালুকদারের মেয়ে আসমা আক্তারের সাথে প্রায় ১৭ বছর পূর্বে পাশর্^বর্তী ভান্ডারিয়া থানার হরিণপালা গ্রামের মকবুল হাওলাদারের ছেলে হারুন হাওলাদারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঔরসে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। বর্তমানে কন্যা সন্তানটির বয়স ১৩ বছর। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই দেবর, ননদ ও শ^শুরের প্ররোচনায় স্বামী হারুন হাওলাদার স্ত্রীর কাছে ব্যবসার কথা বলে বাবা-মায়ের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে আসতে বলে। যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে প্রায়ই স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হতো। এরই জের ধরে বুধবার সকালে হারুন হাওলাদার তুষখালী বাসন্ট্যান্ড সংলগ্ন স্ত্রীর ঐশি হোমিও হলে গিয়ে পুনরায় দাবীকৃত ১০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে। টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে হারুন হাওলাদার ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে। এসময় ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আসমার ভাই আরিফ তালুকদার বলেন, যৌতুকের দাবীতে এর আগেও আমার বোনের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। কিন্তু এবার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আমার বোনের সঙ্গে বিয়ের আগে হারুন হাওলাদার আরও একটি বিয়ে করেছিল। সেখানেও যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হয়।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. আ. হক মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।