বামনায় ছাত্রীর কাছে আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে বহিষ্কার কলেজ শিক্ষক
বরগুনার বামনা উপজেলার বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক মো. আশ্রাফুল হাসান লিটনের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে আপত্তিকর ছবি পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর ওই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে স্বোচ্চার হয়ে ওঠে অনলাইন এক্টিভিস্টরা। পরে এ ঘটনায় অভিযুক্ত লিটনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
অভিযুক্ত শিক্ষক লিটন পার্শ্ববর্তী বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের ছোপখালী গ্রামের মৃত আমজেদ আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি।
গতকাল সোমবার ওই কলেজের প্রাক্তন এক ছাত্রী(বর্তমানে ঢাবির শিক্ষার্থী) তার নিজের ফেসবুক ওয়ালে শিক্ষক লিটনের বিচার দাবি করে কয়েকটি আপত্তিকর ছবিসহ একটি পোস্ট দেয়। সাথে সাথে ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করে সবাই।
ওই শিক্ষার্থীর ফেসবুক ওয়াল থেকে জানা গেছে, ইতিহাসের শিক্ষক লিটন বিভিন্ন সময় ওই শিক্ষার্থীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল এবং বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাঠায়। শিক্ষার্থী ওই ভিডিও ও ছবির স্কীনশর্ট নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এ জঘন্য শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।
জানা গেছে, এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে কয়েক দফা বৈঠক শেষে কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভায় ওই অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আশ্রাফুল হাসান লিটনকে কলেজ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের প্রতিবেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সাংবাদিক জানায়, বিগত ২০১৪ সালে তার নিজ এলাকায় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে উত্ত্যক্ত করায় গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছিলেন লিটন।
শুধু নিজের এলাকায়ই নয় এই লিটন তার কলেজের একাধিক ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ এসএমএস পাছিয়েছিল বলে জানিয়েছে কয়েকজন ছাত্রী।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা আশ্রাফুল হাসান লিটনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোনটি ধরেনি।
এ ব্যাপারে বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ মানজুরুর রব মুর্তাযা আহসান বলেন, আমি ঘটনাটি ফেসবুকে দেখার পরে হতভম্ব হয়ে যাই। একজন শিক্ষকের এমন আচারণ কারো কাম্য নয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক তদন্ত করে ওই শিক্ষককে কলেজ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।