বিমানে জঙ্গি আতঙ্ক : ৯ ঘণ্টার যাত্রা শেষে সিলেটে বিমান অবতরন
নিউজ ডেস্ক।। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৭৭ হিথ্রো বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশের সিলেটের উদ্দেশে যাত্রা করে লন্ডনের স্থানীয় সময় বুধবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা ৫৬ মিনিটে। এক ঘণ্টা পর ফ্লাইটটি যখন জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট অতিক্রম করছিল, তখন লন্ডনের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে বিজি-২০২ ফ্লাইটের পাইলটকে জানানো হয়: বিমানে জঙ্গি ও বোমা থাকতে পারে।
এরপরই শুরু হয় পাইলট এবং ক্রুদের স্নায়ুর সঙ্গে যুদ্ধ।
জরুরী সংবাদটি পাওয়ার পর ফার্স্ট অফিসার আরিফের সঙ্গে আলোচনা করে কেবিন ক্রু চিফ পার্সার ডলিকে বিষয়টি অবগত করেন ফ্লাইট ক্যাপ্টেন ইসমাইল।
দুই পাইলটের নির্দেশনায় ডলি তার ক্রুদের নির্দেশ দেন ফ্লাইটের সকল যাত্রীকে নীরবে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করতে।
এর মধ্যে পাইলট ক্যাপ্টেন ইসমাইল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিমানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করেন।
একদিকে ঠাণ্ডা মাথায় পাইলটরা দেশের দিকে এগোতে থাকেন, অন্যদিকে কেবিন ক্রুরা অব্যাহত রাখেন তাদের পর্যবেক্ষণ।
সিদ্ধান্ত হয় ১০ ঘণ্টার ফ্লাইটটিকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ না করিয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করানো হবে। পরে সিদ্ধান্ত পাল্টে সিলেটেই যায় বিজি-২০২।
জরুরি বার্তা পাঠিয়ে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অবশেষে বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ফ্লাইটটি সিলেটে অবতরণ করে।
তার আগেই সেখানে অবস্থান নেয় র্যাব-পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। প্লেনটি অবতরণের পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ফ্লাইটটিকে ঘিরে ফেলে। যাত্রীদের নামিয়ে র্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি চালানো হয় এয়ারক্রাফটের ভেতরে-বাইরে।
তবে, সন্দেহভাজন কোন কিছু পাওয়া না যাওয়ায় সিলেট থেকে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে ২টা ৫ মিনিটে বিমানটি ঢাকায় অবতরণ করে।
লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া খবরটি জানতে পেরে সাংবাদিকরা কথা বলেন সিলেটে বাংলাদেশ বিমানের স্টেশন ম্যানেজার জিল্লুর রহমানের সঙ্গে।
তিনি জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে প্রস্তুত ছিলাম।
ঢাকায় বিমান সূত্র জানায়, বোয়িং ৭৭৭ ফ্লাইটটি দুপুর ২টা ৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছেছে।
এন এ এস/পাথরঘাটা নিউজ