পাথরঘাটায় অজ্ঞাত রোগে ১ জনের মৃত্যু, আরো আক্রান্ত ১৬ (ভিডিও সহ)

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৫:১৭ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ | আপডেট: ০৬:২৮ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০


বরগুনা পাথরঘাটায় উপজেলার সদর ইউনিয়নরে টেংড়া এলাকায় মানিক মিয়া (৩০) নামের একজন অজ্ঞাত রোগে মৃত্যু হয়েছ। একই রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৩জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে এবং আরো ৩জন গুরুতর না হওয়ায় তাদেরকে বাড়িতেই গ্রাম্য চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এঘটনায় বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে প্রথমে পাথরঘাটাস্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে দুপুর ১টার দিকে মৃত্যু মানিকের বাড়ি পরিদর্শন করেন বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন মো. হুমায়ুন শাহিন খান।

মৃত মো. মানিক মিয়া (৩০) ওই এলাকার ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে এবং পেশায় তিনি একজন জেলে শ্রমিক।

রোগে আক্রান্তরা হলো, পিয়ারা বেগম (৪০), নাইম (১৪), শাহিনুর (২৬), সারমিন (২৬), তামান্না (১৪), নাসরিন (২৭), ইমা (১২), জারিফ (৮), দীনা (৮), মুক্তা (২২), শাহারিন (১১), জান্নাতী (৯), মিরাজ (৩২), জহুরা (৮০), নাজমুল (৩০), লিপি (৩০)। তাদের সকলের বাড়ি একই এলাকায়।

স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের টেংরা গ্রাম থেকে গত বুধবার ৮জন ও বৃহস্পতিবার ৫জন পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভার্তি হয়েছেন। যারা হাসপাতালে এসেছেন তদের মধ্যে অনেকেই জ্বর বমি, পাতলা পায়খানার সমস্যা নিয়ে এসেছেন। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকার ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে মানিক মিয়া পাথরঘাটা বাজার থেকে বাড়িতে গেলে প্রথমে পাতলা পায়খানা হয়। পরে রাতের মধ্যে তিনি দুর্বল হয়ে পরলে বুধবার দুপুরের দিকে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পথে তার মুত্যু হয়। এঘটনায় অত্র এলাকায় প্রায় ৮জন লোক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকেও দ্রুত স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।

মৃত্যু মানিকের বাবা ইদ্রিস হাওলাদার জানান, আমার ছেলের শরিরে কাপুনি দিয়েই অসুস্থ হয়ে পরে। আমাদের এলাকায় নলকুপ বা নিরাপদ পানি না থাকার কারনে পুকুরের পানি না ফুটিয়েই পান করে থাকি।

পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের পঃ পঃ কর্মকর্তা আবুল ফাত্তাহ জানান, একই এলাকার ১২ জন চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন। একজনের মৃত্যুর হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। তবে পরীক্ষা ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না।

বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন হুমায়ুন শাহিন খান জানান, আমরা মৃত্যু মানিকের বাড়ি গিয়ে পরির্দশন করে এসেছি। তিনি অজ্ঞাত রোগে মারা গেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। ওই এলাকা থেকে আরো অনেকেই একই সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। তবে এলাকার পানির কোন ব্যাবস্থা বা বিশুদ্ধ পানি না থাকার করেনেও হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)