কোরআন কেটে ভেতরে ইয়াবা পাচার, ৩ রোহিঙ্গা আটক
অনলাইন ডেস্কঃ মুসলমান সম্প্রদায়ের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন। কিন্তু এই পবিত্র কোরআন শরীফকেও মাদক পাচারের মতো জঘন্য কাজে ব্যবহার করতে দ্বিধা বোধ করেনি মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা। এই ঘৃণ্য কাজটি এবারই প্রথম নয় তাদের কাছে। আগেও করেছে বলে স্বীকার করেছে মাদক পাচারকারীরা।
কোরআন শরীফের ভেতরে করে অভিনব উপায়ে পাচার করার সময় টেকনাফে ১৫ হাজার ৪৩২ পিস ইয়াবাসহ ৩ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। গত ১২ মার্চ রাত ১টার দিকে টেকনাফের নাফ নদীর তীরবর্তী বরইতলী এলাকা থেকে ইয়াবাসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে- মিয়ানমারের মংডু সুধা পাড়া এলাকার বদি আলমের ছেলে মো. জোবায়ের (২০), বরইতলী এলাকার মৃত ইকবাল আহমদের ছেলে দ্বীন মোহাম্মদ (১৯) ও একই এলাকার শফিউল্লাহর ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (১৮)।
টেকনাফস্থ বিজিবি ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. আছাদুজ্জামান চৌধুরী প্রতিবেদককে জানান, টেকনাফ বিওপির হাবিলদার মো. আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে একটি টহলদল বড়ইতলী বরাবর নাফ নদীর কিনারায় নিয়মিত টহলে ছিল। এসময় মিয়ানমারের দিক থেকে একটি মাছ ধরার নৌকায় চড়ে ৩ জন পাচারকারী কেওড়া বনে কিছু একটা নামিয়ে দিচ্ছিলো। বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে দেখতে পেয়ে মাদক পাচারকারী হিসেবে চ্যালেঞ্জ করে।
বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে বিজিবি জওয়ানরা তাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং আটক করতে সক্ষম হন। তল্লাশী চলাকালীন সময়ে তাদের কাছে কিছুই পাওয়া যায়নি প্রথমে। তাদের কাছে অবৈধ কিছুই নেই বলে তারা বিজিবি সদস্যদের প্রায় বোকা বানিয়ে ফেলছিলো। কিন্তু বিজিবি সদস্যদের দেখে তারা কেন পালাচ্ছিলো, এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি তারা।
সন্দেহ থেকে তারপর তাদের ব্যাগের ভেতর আবারো তল্লাশী চালায় বিজিবি সদস্যরা। এ সময় তাদের সাথে থাকা ব্যাগে রক্ষিত বেশ কিছু কোরআন শরীফ দেখতে পান তারা। সেগুলো খুললে দেখা যায়, পবিত্র কোরআন শরীফের ভেতরের পাতাগুলোকে চতুষ্কোণ আকারে কেটে খাঁজ তৈরী করে তার ভেতরে ইয়াবার প্যাকেট ঢুকিয়ে রেখেছে পাচারকারীরা।
ধৃত ৩ পাচারকারীকে জব্দকৃত ইয়াবাসহ টেকনাফ থানায় সোপর্দ্য করে মাদক ও অবৈধ অনুপ্রবেশের দুইটি পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে। জব্দকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৪৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এ এম বি | টেকনাফ প্রতিনিধি | পাথরঘাটা নিউজ