পাথরঘাটায় এক সন্তানের জননীকে ধর্ষনের অভিযোগ

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৮:৫২ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ | আপডেট: ০৯:১৮ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০

এক সন্তানের জননীকে ধর্ষনের অভিযোগবরগুনার পাথরঘাটায় এক সন্তানের জননীকে রাতে ঘরে ঢুকে হাত-পা বেধে ধর্ষণ, স্বার্নালংকার লুট ও কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তর বাবা ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন।

গত শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাদুরতলা এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় পাথরঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলেও জানান ওই জননীর ভাই মামুন।

মামুন জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত অনুমানিক ২টার দিকে তার বোনের বাড়ির পাশের ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেনের ছেলে আরিফ ও আরো ৪ থেকে ৫জন সহযোগীকে নিয়ে বাসায় সিধঁ কেটে ডুকে প্রথমে তার বোনকে বেধে ধর্ষণ করে। পরে তার বোনের গলায় ছুড়ি ধরে আলমিরার চাবি নিয়ে তালা খুলে স্বার্ণালংকার ও কাগজ পত্র নিয়ে চলে যায়। পরে তার বোন তাকে ফোন দিলে পুলিশকে খবর দিয়ে বোনকে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসেল প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করেন।

তিনি আরো জানান, দীর্ঘ দিন ধরেই ইউপি সদস্য ছোহরাবের সাথে একটি মামলা চলছিল। সেই মামলার কাগজ নিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. খালিদ মাহমুদ আরিফ জানান, প্রাথমিক ভাবে আমরা ধর্ষনের আদামত পাইনি। তবে তার গলায় ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে মেডিকেল টেস্টের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত আরিফ এর বাবা ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন মুঠোফোনে জানান, আমার সাথে ওই লোকের সাথে টাকা নিয়ে কোর্টে মামলা আছে। সেই সত্রুতার জেরধরে আমাকে ঘায়েল করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করছে। এগুলো সম্পূর্ন মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে এলাকার কেউ যদি এরকম কোন অভিযোগ দিতে পারে তাহলে বিচার যা হয়ে তাই মাথা পেতে নিবো।

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. সাইদ আহমেদ জানান, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে খবর পেয়ে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে যাওয়ার পরে সেখান থেকে একটি সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। সেখান থেকেও আবার বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সার্টিফিকেট পেলে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)