বামনায় প্রত্যন্ত গ্রামে তথ্য-প্রযুক্তির উৎসব
প্রান্তিক জলবায়ু কবলিত এলাকায় তথ্য প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে বরগুনার বামনায় অনুষ্ঠিত হল ব্যতিক্রমী সিট্স টু মিট ফেস্টিভ্যাল। স্থানীয় তরুণদের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়াতে পিঠা মেলা, উন্নত তথ্য-প্রযুক্তির গ্যাজেট প্রর্দশনী ও আলোচনা সভার মাধ্যমে প্রান্তিক অঞ্চলে এক উৎসব মুখর পরিবেশের তৈরি হয়।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সবুজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন জোমাদ্দার।
এসময় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্বয়ক সোহানুর রহমান, সামাজিক সংহতি প্রতিষ্ঠায় তথ্য প্রযুুক্তি বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের ফিউচার পার্মানেন্ট ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা জুর্জেন ডি ব্রাইস তথ্যপত্র উপস্থাপন করেন।
আলোচনায় অংশ নেন সিট্স টু মিট বাংলাদেশের স্থানীয় ব্যবস্থাপক ফাহাদ বিন হুসনে আলী, সহ-উদ্যোক্তা কৌশিক কুমার দাস, সমন্বয়কারী আফতাব হোসেন রাশেদ মোল্লা, আইয়ুব আলী মল্লিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শতাধিক তরুণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আইটি সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জন করে।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, তরুণরাই বাংলাদেশের বাতিঘর। তাদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। এর জন্য তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি, তাদের মানবীয় গুণাবলির বিকাশ এবং তারুণ্যে বিনিয়োগ একান্ত অপরিহার্য বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
সিট্স টু মিট বাংলাদেশের স্থানীয় ব্যবস্থাপক ফাহাদ বিন হুসনে আলী জানান, বরগুনার বুকাবুনিয়া একটি প্রত্যন্ত জনপদ। এখানে অধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির ছোঁয়া এখনও লাগেনি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, লবণাক্ততাসহ জলবায়ু জনিত সংকটও প্রকট।
স্থানীয় তরুণদের তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ করতেই গড়ে তোলা হয়েছে কর্মস্থান বিনিময়ের উদ্যোগ ‘ সিটস টু মিট’। এর মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক তরুণরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পাচ্ছে একেবারে বিনে পয়সায়। আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে এসব তরুণদের তুলে ধরতেই সিট্স টু মিট ফেস্টিভ্যাল ।