ক্ষুধার জ্বালায় চুরি, রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলো দোকান মালিক।
বরগুনার পাথরঘাটায় ১৩ বছরের কিশোরকে চুরির চেষ্টার ঘটনায় মারধর করে ক্ষতবিক্ষত করে রাস্তায় ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় গুরুতর আহত কিশোরকে পুলিশ উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
রবিবার বেলা সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার হাতেমপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাতেমপুর বাজারে খালেক মৃধার দোকানে কৌশলে ঐ কিশোর প্রবেশ করে। পরে লোকজনের টের পেয়ে দোকানের উপরে উঠে আত্মগোপন করে। পরে তাকে দেখে ফেললে চোর সন্দেহে খালেক মৃধা ও আবু সালেহ মিলে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে রাখে।
মারধরের শিকার কিশোর জানান অনেক বছর আগেই তার মা তাকে রেখে অন্য পুরুষের সাথে বিবাহকরে চলে যায়। এরপর বাবাও অন্যত্র বিয়ে করে তার খোঁজ খবর নিচ্ছেনা। ঘটনার দিন দুপুরে কিছু না খেতে পেয়ে দোকানে ঢুকি কিছু খাবার জন্য। তখন দোকানদার ও তার ভাই আমাকে রড দিয়ে পিটিয়েছে এবং কামর দিয়ে রক্ত বের করে দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঐ কিশোর দীর্ঘদিন ধরে যাযাবর ভাবে জীবন যাপন করে আসছে।
দোকান মালিক খালেক মৃধা জানান দোকানের শাটার অর্ধেক টেনে বাহিরে গেলে এই ফাঁকে দোকানে ঢুকে চুরির প্রস্তুতি নিচ্ছিল ছেলেটি। আমাদের টের পেয়ে সে দোকানের দোতলায় গিয়ে লুকিয়ে থাকে।
পাথরঘাটা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মোশাররফ হোসেন জানান গ্রাম পুলিশের কাছে তথ্য পেয়ে ঐ কিশোরকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।