সংবাদ সম্মেলন পাথরঘাটায় পুলিশের বিরুদ্ধে রাজাকার আসামী ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
৭১ এর ঘাতক যুদ্ধাপরাধ মামলায় আ. মান্নানসহ আসামীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যূনালের গ্রেফতারি পরোয়ানাদের গ্রেফতারে নাটকীয়তা এবং গ্রেফতার না করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বরগুনা প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী মামলার বাদি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের ছেলে মো. মিজানুর রহমান আবুসহ ১০জন বীর মুক্তিযোদ্ধা লিখিত সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বরগুনা জেলা পরিষদের সদস্য ও পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আলহাজ্ব এম.এ. খালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনি মন্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল আলম তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনমথ রঞ্জন মিস্ত্রী, মীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মুকুল তালুকদার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে সংঘঠিত মানবতা বিরোধী অপরাধে পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক তথাকথিত কমান্ডার আবদুল মন্নান হাওলাদারসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৯৭৩ সালের আইনের ৩(২) ধারার অপরাধ তদন্তে সাক্ষ্য প্রমানে আবদুল মন্নান হাওলাদারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হয়। পরে ট্রাইব্যুনাল ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর Order no-1 Dt-৩১/১২/২০১৯ আদেশের মুলে ছয় জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করে।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর বাদি পক্ষের পক্ষ থেকে আসামীদের গ্রেফতারের সহায়তা করলে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার না করে গড়িমসি করছে। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেনি।
তাছাড়া জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল থেকে গত ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর ৪৮.০২. ০০০০. ০০৫. ০২২. ১৯. ২৫৯ স্মারকে আ. মান্নান হাওলাদারের মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও বন্ধ করে দেয়া হয়।
মামলার বাদি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান আবু আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্বেও আসামীরা প্রকাশ্যে ঘূরেছেন। গ্রেফতারি পরোয়ানামুলে আসামী ফজলু খাকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিলেও নাটক করে ছেড়ে দেয়। এতোদিন হয়ে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছুই করছেনা। আমি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মামলার স্বাক্ষী ও সহায়তাকারীসহ জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বাদিসহ উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের নিরাপত্তা এবং দ্রুত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারীকৃত আসামীদের গ্রেফতার করারও দাবি করেন। তারা আরো দাবী করেন যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্তাধীন কোন মামলা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান তদন্ত করতে পারেন কিনা?
এ ব্যপারে পাথরঘাটা থানা তদন্ত ওসি মো. সাইদ আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আদালতের কোন লিখিত আদেশ পাইনি। না পেলে কিভাবে আইনী ব্যবস্থা নিব।