রাজাপুরে ভাইয়ের হাতে কলেজছাত্র খুন
ঝালকাঠিতে ভাইয়ের হাতে কলেজছাত্র ভাই আব্দুর রহমান খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে জেলার রাজাপুর উপজেলার কেওতা ঘিগড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আবদুল্লাহ (১৫) ও নিহত আবদুর রহমান (১৮) আপন ভাই। তারা এই এলাকার ওমান প্রবাসী আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে।
নিহত আবদুর রহমান পার্শ্ববর্তী উপজেলার গুয়াটন হেমায়েত উদ্দিন মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
আবদুল্লাহ স্থানীয় কেওতা ঘিগড়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্র। ঘটনার পর রাতেই তিনি পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানায়, আবদুর রহমানরা চার ভাই। ওদের বাবা ও বড় ভাই আবদুর রহিম জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন ধরে ওমানে কর্মরত আছেন।
কিছুদিন আগে ওর বড় ভাই আবদুর রহিম দেশে এসে চাকরির সুবাদে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় বাস করছেন। আবদুর রহমানসহ তিন সন্তানকে নিয়ে তাদের মা বাড়িতে থাকেন। আবদুল্লাহ লেখাপড়া করলেও মানসিকভাবে সব ছেলেদের মতো স্বাভাবিক ছিলেন না। সোমবার রাত ৯টার দিকে আবদুল্লাহ বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসায় এসে এলাকাবাসীকে ডেকে ভাই আবদুর রহমানকে আঘাত করার কথা জানান।
পরে আবদুর রহমানের দাদা আবদুল খালেক হাওলাদারের সহযোগিতায় এলাকাবাসী আবদুর রহমানকে উদ্ধার করে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবদুর রহমানের মা ইয়াসমিন বেগম বলেন, আগামী মাসে আবদুল্লাহর দাখিল পরীক্ষা তাই আবদুর রহমান ও আবদুল্লাহ সামনে বসে পড়ছিল। আমি ওদের জন্য খিচুড়ি রান্না করছিলাম। হঠাৎ আবদুর রহমানের চিৎকার শুনে আমি সামনে এসে দেখি আবদুর রহমানের মাথা দিয়ে রক্ত পড়ছে। এ সময় আবদুল্লাহও বিচলিত হয়ে পড়ে এবং বলে আমি আবদুর রহমানকে মেরেছি।
রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহজবীন আহম্মদ বলেন,হাসপাতালে আনার আগেই আবদুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। মাথার উপরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই আবদুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন বলেন, নিহতের দাদা আবদুল খালেক হাওলাদার বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় আবদুল্লাহকে আসামি করে সকালে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ঝালকাঠি মর্গে পাঠানো হয়েছে।