সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ মঠবাড়িয়ায় সড়ক সংস্কারের ৪ মাস পরেই মরন ফাঁদে পরিনত ॥ জন দুর্ভোগ চরমে
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় মিরুখালী ইউনিয়নের অন্যতম গুরুপ্তপুর্ণ ঝাউতলা-ভগিরথপুর সড়ক সংস্কারের ৪ মাস পরেই মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ফলে জন দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে গেছে। রাস্তায় ভেঙ্গে বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দর এবং গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা যায় ঝাউতলা-ভগিরথপুর প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কের দু‘পাশে প্রস্থকরণঃ সকল রাস্তা দেবে গেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। যে কারনে ওই এলাকার মানুষ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের ওপর ব্যাপক ভাবে ক্ষেপে রয়েছেন।
স্থানীয় কৃষক সোহরাফ হাওলাদার (৬৫) ক্ষোভের সাথে বলেন, কাজ চলাকালীন সময় ঠিকাদার আবু হানিফকে ভালকরে কাজ করার জন্য বার বার অনুরোধ করলেও তিনি কোন কর্নপাত করেনি। ৪ মাস যেতে না যেতেই পুরো ৩ কিলোমিটার রাস্তাই গাড়ি চলা চল করার অযোগ্য হয়ে পরেছে। এ অঞ্চলের কোন মানুষ অসুস্থ্য হলে তাকে এ্যাম্বুলেন্স তো দুরের কথা একটি রিক্সায় করেও হাসপাতালে নেয়ার মতো অবস্থা নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা ও অটো চালক আলমগীর হাওলাদার জানান, রাস্তা সংস্কারের ৪ মাথায় একাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা অটো চালকেরা বেশ কয়েকটি গর্ত ভরাট করেছি। জববার চৌকিদারের বাড়ির সামনের কালভার্টি নিয়ম মাফিক না করায় পুরো রাস্তা জুড়ে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সমাজ সেবক মুরাদ মিঞা বলেন, কাজ তদারকি করতে আসা এলজিইডির র্কমর্কতারা সরেজমিনে এসে কাজ তদারকি না করে একটি স্থানে দাড়িয়ে ঠিকাদারের কাজ থেকে সুবিধা নিয়ে চলে গেছে। যে কারনে মানসস্মত কাজ হয়নি। এমন কি সড়কের দু‘পাসে প্রসস্থকরঃ করার পর পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করার নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মাটি ভরাট করেনি।
উপজেলা প্রকৌশলী কাজী আবু সাঈদ মোঃ জসিম বলেন, ঘটনা মিথ্যা বলার সুযোগ নাই। এব্যাপারে স্থানীয় জনসাধারনের সচেতন হতে হবে। তার পরেও যাচাই ও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।