রাজাপুরে মাদরাসা অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনায় বিএনপি নেতা গ্রেফতার
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনায় বিএনপি সভাপতি আবুল কালাম তালুকদার আজাদসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মাদ্রাসার নিয়োগ সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষ মাওলানা অলিউল্লাহ।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজাপুরের কেওতা ঘিগড়া ফাজিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষককে মারধরের সত্যতা পাওয়া গেছে। অধ্যক্ষ বাদী হয়ে যুবদল নেতা নাজমুল হুদা চমন, উপজেলা বিএনপি সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম, উপাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম এবং প্রভাষক শাহিন হাওলাদারসহ কয়েকজন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।’
অভিযোগকারী অলিউল্লাহ বলেন, ‘মাদ্রাসার একটি নিয়োগ পরীক্ষায় অফিস সহকারী পদে প্রথম হওয়া হাফিজুরকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই পরীক্ষায় যুবদল নেতা চমনের স্ত্রী মরিয়ম যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। চমন তার স্ত্রীকে নিয়োগ দিতে চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে চমন ঝালকাঠির রাজাপুর সহকারী আদালতে একটি মামলাও (নং ৯২/১৯) করে। আদালত সেই মামলা খারিজ করে দেয়। তাই সে তার লোকজন এবং মামা আবুল কালামকে নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটায়। আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোবাশ্বের হোসেন এবং এবতেদায়ি প্রধান সাইদুর রহমান আহত হন।’
এদিকে অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি এই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ছিলাম। ৪-৫ মাস আগে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করি। সেই পদত্যাগপত্রের রেজুলেশনে স্বাক্ষর নিতে গেলে শিক্ষকরা অধ্যক্ষের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে অধ্যক্ষের ঝামেলা হয়। আমি খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। মারধরের ঘটনায় আমি জড়িত নই।’
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর বলেন, ‘আবুল কালামের মতো একজন অভিজ্ঞ লোক এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আমার মনে হয় না। তারপরও যদি সে এই ঘটনায় জড়িত থাকে, তাহলে আমি এর নিন্দা জানাই।’