ঝালকাঠিতে মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ, দুইজন কারাগারে
ঝালকাঠির রাজাপুরে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত মোঃ সাগর খান (১৮) ও মোঃ হেমায়েত খলিফা (৪০) নামে দুই ধর্ষককে আটক করেছে রাজাপুর থানা পুলিশ।
সোমবার রাতে দুইজনকে আটক করলেও ঘটনার সাথে জড়িত মোঃ জালাল হাওলাদার (৪০) পলাতক রয়েছে। তবে ধর্ষণের ঘটনা দামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী চাটুকার মহল চেষ্টা চালায় যে কারনে বিষয়টি জানাজানি ও মামলা দায়েরের বিলম্ব ঘটে। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ দুই ধর্ষককে আটক করে।
অভিযোগে ও ধর্ষিতার পরিবার জানায়, রোববার বিকালে ধর্ষিতা তার ঘরের সামনে বসা ছিল। এমন সময় একই এলাকার মোঃ রশিদ হাওলাদারের পুত্র মোঃ জালাল হাওলাদার (৪০) প্রথমে এসে ওই ছাত্রীকে বলে তোকে হেমায়েত তার বাড়িতে ডাকে। জালালের কথায় কোন কর্নপাত না করে ধর্ষতা মেয়েটি বসে থাকে। কিছুক্ষণ পরে আবার একই এলাকার মোঃ শহিদ খানের পুত্র মো. সাগর খান (১৮) এসে পুনরায় আবার ধর্ষিতা মেয়েটিকে বলে তোকে হেমায়েত তার বাড়িতে ডাকে। তখন ওই মেয়েটি কি জন্যে তাকে ডাকে জানার জন্য হেমায়েতের বাড়ি যায় এবং দরজায় দাড়িয়ে কেন ডেকেছে জানতে চাইলেই হেমায়েত তার ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে মেয়েটিকে টেনে বিতরে নেয় এবং সাগর, জালাল ও হেমায়েত তিনজনেই পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনা কাউকে না বলতে মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখায় বলে অভিযোগেে উল্লেখ করেন। এমনকি এ কথা কাউকে জানালে মেয়েটিকে মেরে ফেলা হবে বলে ধর্ষনকারীরা হুমকি দেয়। পরবর্তীতে মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ী ফিরে তার মাকে বলে। তখন মেয়েটির পরিবার মেয়েটিকে নিয়ে থানায় যায় এবং মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই ধর্ষিতা ছাত্রীর চিকিৎসা ও ডাক্তারী পরিক্ষা করায়।
এ ব্যাপারে রাজাপুর থানা ওসি (তদন্ত) মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, অভিযোগ পেয়েই অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ২ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা ও মেয়েটির ডাক্তারি পরিক্ষা করানো হয়েছে ।