এ যন্ত্র দিয়ে লিটারে এক একর জমিতে চারা রোপণ করা সম্ভব
সময় ও খরচ কমিয়ে ধান চাষকে লাভজনক করার লক্ষে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে যন্ত্রের মাধ্যমে বোরো ধানের চারা রোপন কার্যক্রম। সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল মুঈদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এ সময় ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপন দেখতে ভিড় করেন স্থানীয় মানুষ। উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের বোরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ব্যারিস্টার মো. গোলাম কবির ভূঁইয়ার ৫০ একর জমিতে ব্রি-২৮ ও ব্রি- ২৯ জাতের ধানের চারা রোপন করা হয়। মেশিনের মাধ্যমে চারা রোপন কার্যক্রম দেখে আগামীতে যন্ত্রের মাধ্যমে কৃষিকাজ শুরু করবেন বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।
এ উপলক্ষে সেখানে এক কৃষক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষিকে লাভজনক করতে যান্ত্রিকরণের তাগিদ দেন। এ ব্যাপারে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেয়া হয়। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে কৃষি কাজে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের সুফল তুলে ধরেন বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল মুঈদ। তিনি বলেন সময় ও অর্থ বাঁচাতে কৃষি কাজে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।
কৃষি কাজে দিন দিন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন দেশের কৃষি ক্ষেত্রে একটি মাইল ফলক। এ যন্ত্রের মাধ্যমে মাত্র এক লিটার তেল দিয়ে একদিনে কমপক্ষে এক একর জমিতে ধানের চারা রোপন করা সম্ভব। একজন মাত্র কৃষক এ কাজ করতে পারবেন। এতে সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। ফলে কৃষক লাভবান হবে।
নামমাত্র টাকায় সরকারি ভর্তূকিতে এ যন্ত্র দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী মওসূমে আরও বেশি রোপনযন্ত্র দেয়া হবে। সেই সঙ্গে আগামী ধানকাটা মওসূমে যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটার ব্যবস্থা করা হবে।
এ সময় কৃষকদের পক্ষ থেকে মানসম্পন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যের মেশিন সরবরাহ এবং এগুলো চালানোর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে সরকারি উদ্যোগের দাবি জানান তিনি।
ওই সভায় কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক বিভূতি ভূষণ সরকার, তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক, জাওয়ার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান ও স্থানীয় কৃষক এমদাদুল হক রতন।