বরগুনায় যুবতীকে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ, ট্রাইব্যুনালে মামলা
সুন্দরী এক যুবতীকে বিয়ের প্রলোভনে বাগানে নিয়ে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। থানায় মামলা না নেয়ায় লিগ্যাল এইডের সহায়তায় আপসে ব্যর্থ হয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই যুবতী মামলা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামি হলেন, বরগুনা সদর উপজেলার চরকগাছিয়া গ্রামের মৃত মজিদ ফকিরের ছেলে মো: ইসমাইল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, একই উপজেলার পশ্চিম ধূপতি গ্রামের ২০ বছরের এক সুন্দরী মেয়ের সাথে মুঠোফোনে ওই ইসমাইলের সম্পর্ক হয়। ইসমাইল যুবতীর রূপে মুগ্ধ হয়ে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। প্রথমে যুবতী রাজি না হলেও এক পর্যায়ে বিয়ে বসতে রাজি হয়ে যান। বেশ কয়েক মাস তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছে। কিছুদিন আগে ইসমাইল তার এক বন্ধুর বাসায় ওই যুবতীকে নিয়ে যায়। ইসমাইলের বন্ধু কৌশল করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলে যুবতীকে ধর্ষণ করেন ইসমাইল। এ সময় ইসমাইল যুবতীকে আশ্বস্ত করেন কিছু দিনের মধ্যে তাদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। তাই এই বিষয়টি লুকিয়ে যেতে হবে। ইসমাইলের কথামত যুবতী কারো কাছে ধর্ষণের কথা বলেনি।
যুবতী বার বার ইসমাইলকে তাকে বিয়ে করার জন্য অনুরোধ করে ব্যর্থ হয়ে মামলা করার হুমকি দেন। সবশেষ গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর ইসমাইল ওই যুবতীকে ফোন করে জানান, রাতে তার সাথে বিয়ের কথা চূড়ান্ত করতে আসবেন। ইসমাইল রাত নয়টায় যুবতীকে ফোন করে তার বাবার বসতঘরের বাইরে নামতে বলেন। পরে ইসমাইল যুবতীকে হাত ধরে পিছনের বাগানে নিয়ে আবারো ধর্ষণ করেন।
ওই যুবতী বলেন, আমি গরীব বাবার মেয়ে। মামলা করার মতো আমার কোনো টাকা নেই। বরগুনা থানায় আমার মাকে নিয়ে মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। পরে বরগুনা জেলা লিগ্যাল এইডের সহায়তায় ইসমাইলের সাথে আপস করে দেয়ার চেষ্টা করেছে।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বরগুনা থানায় এ ব্যাপারে কেউ মামলা করতে আসেনি। অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেব।