সখের বশে মাছ শিকারে সাগরে, ফিরলেন বড় ভাইয়ের লাশ নিয়ে।
সখের বশে বড় ভাইয়ের সাথে মাছ শিকারের জন্য সাগরে গিয়েছিল হৃদয় (১২)। কিন্তু হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হওয়ার সমুদ্র উত্তাল হলে নোঙর করা তাদের ট্রলারের উপর পাশে থাকা আরেকটি ট্রলারের ধাক্কায় সাগরে ছিটকে পরে জালের বয়ার রশিতে গলা আটকে যায় বড় ভাই রাজিবের (২০)। এতেই মৃত্যু হয় তার।
নিহত রাজিব (২০) বরগুনার ১নং বদর খালি ইউনিয়নের আবদুল রাজ্জাক চৌকিদারের ছেলে।
রাজিবের ছোট ভাই হৃদয় জানান সখের বশে বড় ভাইয়ের সাথে এই প্রথম সাগরে যাই। কিন্তু মাছ না নিয়ে ভাইয়ের লাশ নিয়ে ঘাটে এলাম।
ট্রলারের মাঝি জয়নাল মিয়া জানান, হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় সাগর থেকে জাল তুলে ২৫/৩০ টি ট্রলার একসাথে নোঙর করে রাখি। ভোররাত চারটার দিকে হঠাৎ তুফানের ধাক্কায় অপর একটি ট্রলার আমাদের ট্রলারটিকে জোরে ধাক্কা দেয়। এসময়ে ট্রলার থেকে রাজিব ছিটকে সাগরে পড়ে যায়। তখন বয়ার রশিতে তার গলা আটকে যায়। তখন তার চিৎকার শুনে আমরা লাফিয়ে সমুদ্রে নেমে গলা থেকে রশি খুলে উদ্ধার করে সরাসরি উপকূলের দিকে রওয়ানা দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজিব মারা যায়।
জেলা মৎস্যজীবি ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পাথরঘাটা ট্রলার ঘাট থেকে মাছ শিকারের জন্য ১৭ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে গভীর সমুদ্রে রওয়ানা দিয়ে যায় বরগুনার পাথরঘাটার সিদ্দিক জোমাদ্দারের মালিকানাধীন এফ বি বিসমিল্লাহ। ঘটনার সময় গভীর সমুদ্রের সোনার চর থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে সীমান্ত এলাকায় মাছ ধরার ট্রলারটি নোঙর করা ছিল।
তিনি আরো জানান, ট্রলারটি সাড়ে এগারোটা ঘন্টা চালিয়ে রবিবার বিকেল চারটার দিকে পাথরঘাটা ট্রলার মালিক সমিতির কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ সাবরিনা ফারহা জানান, রবিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হাসপাতালে মরদেহটি নিয়ে আসে। তিনি জানান, হাসপাতালে পৌছার ৯ ঘন্টা আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বিস্তারিত ভিডিওতে দেখতে চোখ রাখুন পাথরঘাটা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে