আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুল ইসলামকে অনাস্থা

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭:১৪ পিএম, ৪ জানুয়ারী ২০২০

আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুল ইসলামকে অনাস্থাআমতলী প্রতিনিধি :
বরগুনার আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুল ইসলামকে দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থেকে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে গত ২৯ ডিসেম্বর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ সভা ডেকে তাকে অনাস্থা প্রদান করেন।

এ ঘটনায় শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মতিন খান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন সবুজের নেতৃত্বে কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন সবুজ লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, গত ৯ মে ২০১৮ইং সালে মাহবুবুল ইসলামকে সভাপতি করে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট (আংশিক) উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা ছাত্রলীগ। এ কমিটির মেয়াদ দেয়া হয় ১ বছর। গত ১ বছর ৭ মাস অতিবাহিত হলেও অদ্যবদি উপজেলার পূর্নাঙ্গ কমিটি ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন সভাপতি। এ সকল কমিটি করতে সাধারণ সম্পাদকসহ উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ সভাপতিকে বারবার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও তিনি পূর্নাঙ্গ কমিটি করার ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেয়নি। এতে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও দলীয় কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। বর্তমানে উপজেলা সভাপতির সাথে ইউনিয়ন ও উপজেলার অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না থাকায় ঐত্যিবাহী এ ছাত্র সংগঠনটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

সাংবাদিক সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম গত ২৭ মে ২০১১ তারিখে পার্শ্ববর্তী মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নে র‌্যাব-৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের টহল সদস্যদের হতে ৫ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেল হাজতে ছিলেন। বর্তমানে মামলাটি চলমান আছে। তিনি এখনো গোপনে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। যা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

এসকল অভিযোগে গত ২৯ ডিসেম্বর ১৪ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মতিন খান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন সবুজের নেতৃত্বে সভা ডেকে সভাপতি মাহবুবুল ইসলামকে দলীয় সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি (অনাস্থা) প্রদান করেন। সভায় সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মতিন খানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মোঃ ফাহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইয়ামিন হাওলাদার, মোঃ পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল আমিন, ইব্রাহীম বিশ্বাস, আশিকুর রহমান আসলাম, মোফদি সরোয়ার সওমসহ উপজেলা নেতৃবৃন্দ।

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি করে গত ১মাস পূর্বে জেলায় জমা দিয়েছি। ইউনিয়ন কমিটি করতে পারি নাই। আর আমার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ মিথ্যা।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)