পাথরঘাটায় ট্রলার ডাকাতি ও জেলেকে হত্যা চেস্টার অভিযোগ
বরগুনার পাথরঘাটার খাল থেকে ট্রলার ডাকাতি ও জেলে আলম বাদশাকে (৫০) হত্যা চেস্টার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা লঞ্চঘাটের খালের শয়াদত নগর দরবার শরীফের ঘাটে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত আলম বাদশাকে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পাথরঘাটা থানার ওসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহত আলম বাদশা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা গ্রামের মো. আব্দুল ছত্তারের ছেলে।
আহত আলম বাদশা জানান, প্রতিদিনের মত রাতেই ট্রলারে গুমিয়ে পরলে হঠাত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ট্রলারে উঠে কিছুলোক আমাকে দরজা খুলতে বলে। এসময় আমি তাদেরকে ট্রলারে ওঠার কারন জানতে চাইলে রুস্তুম, আলমাছ, মব্বত আলী শাবল দিয়ে তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে কোন কথা না বলেই শাবল, শিকল ও জিআই পাইপ দিয়ে পিটাতে শুরু করে। আমি একজনের হাতে কামর দিলে একটি শিকল আমার গলায় পেচিয়ে স্বাসরোধ করে। এসময় ট্রলারের ইঞ্জিন রুমে পরে যই। এর পরে কি হয়েছে তা আমি জানিনা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পৌরসভার মেয়রের ছেলে মনির হোসেন জানান, রাতে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ লোকজনের চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি আলম মাঝিকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে রাখা হয়েছে। পরে সকালে রুস্তুম নামের এক লোক আমাকে মুঠোফেনে কল করে বলে আমার ভুল হয়েছে, থানায় যেন কোন মামলা না হয়। শালিশের মাধ্যমে জরিমানা দিয়ে মিলে মিশে যাবো।
তিরি আরো জানান, কিছুদিন আগে ওই ট্রলারটি চরদুয়ানী ইউনিয়নের রুস্তুমের কাছ থেকে কালমেঘা ইউনিয়নে বড় পাথরঘাটা গ্রামের সরওয়ার হাওলাদার ক্রয় করে। এর পরে গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রুস্তুমসহ কিছু লোক মিলে ট্রলারটি ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে।
মারধরের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত রুস্তুম বলেন, আমি তাকে মারধর করিনি উল্টো আলম আমাকে কাঠ দিয়ে মারধর করেছে। আমি মেয়রের ছেলে মনিরকে বলেছি শালিশের মাধ্যমে জরিমানা দিয়ে মিলে যাবো।
এবিষয়ে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন জানান, আমার কাছে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি তবে পৌরসভার মেয়র মুঠোফোনের আমাকে জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।