পিরোজপুরের সাবেক এমপি আউয়াল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
খাস জমিতে ভবন নির্মাণ, অর্পিত সম্পত্তিতে নিজের নামে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা এবং সরকারি পুকুর ভরাট করে দখলে নেওয়ার অভিযোগে পিরোজপুরের সাবেক এমপি একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুদক।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত বরিশাল জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক দেবব্রত মন্ডল।
তারা আরও জানান, দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ে দায়ের করা এ মামলা তিনটিতে ঢাকাস্থ দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, তিনটি মামলার মধ্যে একটি মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামী করা হয়েছে। মামলায় উভয়ের স্থায়ী ঠিকানা পিরোজপুর জেলা সদরের পাড়েরহাট রোড দেখানো হয়েছে এবং বর্তমান ঠিকানা ঢাকার আদাবর থানাধীন শেকেরটেক এলাকার ছয় নম্বর রোডের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি খাস জমি ভুয়া ব্যক্তিদের নামে বন্দোবস্ত দেখিয়ে একেএমএ আউয়াল (সাবেক সংসদ সদস্য) ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন উক্ত জমিতে একটি দ্বিতল ভবন (প্রথম তলার ছাদ পাকা ও দ্বিতীয় তলার ছাদ টিনের তৈরি) নির্মাণ করে অবৈধভাবে দখলে রেখে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধে আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। যার কারণে উক্ত ধারায় তাদের বিরুদ্ধে কমিশনের অনুমোদনক্রমে মামলা রুজু করা হয়।
অপর মামলায় বলা হয়, একেএমএ আউয়াল ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভিপি ‘ক’ তফসিলের জমিসহ অন্যদের জমি নিজের নামে অবৈধভাবে দখল করে পিরোজপুর সদরে অবস্থিত রাজার পুকুর নামে পরিচিত পুকুরটি ভরাট করে অবৈধভাবে দেওয়াল নির্মাণ করে জমি দখলে রেখে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ কারণে উক্ত ধারায় তার বিরুদ্ধে কমিশনের অনুমোদনক্রমে মামলা রুজু করা হয়।
এছাড়া, সরকারি অর্পিত সম্পত্তি লিজ নিয়ে লিজের শর্ত ভঙ্গ করে এবং লিজের টাকা পরিশোধ না করে আসামি একেএমএ আউয়াল ক্ষমতার অপব্যবহার করে উক্ত সরকারি অর্পিত ‘ক’ তালিকাভুক্ত জমিতে তার নিজ নামে আউয়াল ফাউন্ডেশন নির্মাণ করে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখলে রেখে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ কারণে উক্ত ধারায় তার বিরুদ্ধে কমিশনের অনুমোদনক্রমে মামলা রুজু করা হয়।(সূত্রঃ বরিশালটাইম.কম)