ভাষা আন্দোলন ৬ দফা-সহ সব আন্দোলনে স্বকীয় ছিলেন মুজিবুল হক
="accelerometer; autoplay; encrypted-media; gyroscope; picture-in-picture" allowfullscreen>
বঙ্গবন্ধুর সহপাঠী, মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিই নয়, মরহুম মো. মজিবুল হক ‘নয়া ভাই’ ভাষা আন্দোলনের সময় সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন তার সহধর্মিণী নুরজাহান বেগম (৯০)।
তিনি বলেন, কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র থাকাকালীন শেখ মুজিবুর রহমানের সহপাঠী ছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর পূর্ব বাংলায় চলে আসেন। ঢাকায় থেকে বাংলারে রাষ্ট্র ভাষা করার আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গের মিছিলে ছিলেন মুজিবুল হক নয়া ভাই। আইউব বিরোধী আন্দোলন , ১৯৬৬’র ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৭৯ এর গণ অভ্যুত্থান এবং ১৯৭০ এর নির্বাচনে অওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাথরঘাটা থানা সংগ্রাম পরিষদের সভপতির দায়িত্ব পালণ করেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পাথরঘাটার “হক ভবন” বাড়িটি ছিল মুক্তিযাদ্ধাদের আশ্রয় কেন্দ্র।
মজিবুল হক নয়া ভাইয়ের সেজো মেয়ে নাজমা হক জানান, আমার বাবা মজিবুল হক ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে (পাথরঘাটা-বামনা) সংসদীয় আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যার মনোনয়ন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসাবে কাজ করেছেন । যারা এই তালিকা তৈরি করেছে তাদের শাস্তির দাবী জানাই।
মজিবুল হক নয়া ভাইয়ের স্ত্রী নুরজাহান বেগম রাজাকারের তালিকা স্থগিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি মরহুম মজিবুল হককে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপক্ষের তালিকায় রাখা জন্য অনুরোধ জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আমীরুল কবির জানান, পাথরঘাটা সকল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ও সার্টিফিকেট দিয়েছেন মজিবুল হক। কিন্তু তার সার্টিফিকেট দিবে কে? যিনি পাথরঘাটার মুক্তিযোদ্ধাদের মুখপাত্র তিনি রাজাকারের তালিকায় এটা দুঃখজনক। তিনি এজন্য মন্ত্রনালয়ের গাফেলতিকেই দায়ী করেন।
মুক্তিযোদ্ধা হাবিব মৃধা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি সামনাসামনি যে দশটি ফাইট করেছি তা মরহুম মজিবুল হক স্যারের প্রেরণায়।