মানববন্ধনে বক্তারা মঠবাড়িয়ায় ভেকু না কোদাল দ্বারা খাল খনন চাই

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭:২৫ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯

মানববন্ধনের একাংশমোঃ মনির আকন, মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
পুরাতন খাল কোদাল দ্বারা সংস্কার না করে ভেকু দিয়ে খননের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। আজ বুধবার সকাল ১১ টায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার নীলপুর বাদুরতলী গ্রামের পুরনো খাল সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন এলাকার নারী-পুরুষ সহ কৃষক, মজুর ও ছাত্র জনতা।

ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন থেকে, ভীমনলী বাড়ই বাড়ি থেকে শিংড়াবুনিয়া মোল্লা বাড়ি পর্যন্ত সাড়ে ৮ কিলো মিটার খাল ভেকু দ্বারা খননের পরিকল্পনা প্রত্যাহার করে কোদাল দ্বারা খাল সংস্কারের দাবি জানানো হয়। বক্তরা বলেন, অনেক পুরনো এই খালটি ২২ ফুট ছিল এখন ৪৭ফুট খাল বেকু দিয়ে খনন করলে এলাকাবাসীর বসত ঘর, গাছপালা, কবরস্থানসহ মসজিদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাই আগের মাপে ২২ফুট খাল কোদাল দিয়ে খনন করলে গ্রামবাসী উপকৃত হবে। তাই ভেকু ব্যাবহার না করে কোদাল দিয়ে খাল খনন চাই।

গ্রামবাসী জানায়, পুরাতন খালটি পুনরায় খনন করা হলে কৃষকদের লাভ হবে। অন্যদিকে ভেকু দিয়ে খাল খনন করা হলে খালের পাড়ের বসত বাড়িসহ ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হবে। এই খাল খনন- ভেকু নয়, কোদাল দিয়ে খননের জোরালো দাবি জানান তারা।

সমাজসেবক শাহাদাত হোসেনের উদ্যোগে, মানববন্ধনে অংশ নেয়া নীলপুর বাদুরতলী গ্রামের রুস্তুম আলী মোল্লা বলেন, প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অধিক অর্থ লাভ করার জন্য কোদাল দ্বারা খাল খনন না করে ভেকু দিয়ে খাল খননে পরিকল্পনা করছে, আর ভেকু দ্বারা খননে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লাভবান হলেও আমরা সাধারন মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং খালের পাড়ের বসত ঘর, গাছপালা, কবরস্থানসহ মসজিদের ব্যাপক ক্ষতি হবে এলাকাবাসীর।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন আব্দুল বারেক মুন্সি (৭৫), সৈয়দ তালুকদার (৬০), মো: আফজাল হোসেন খলিফা(৫৫). আব্দুল মালেক সরদার(৬৫) প্রমুখ।

এব্যাপারে আমরাগাছিয় ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিল ফরাজী বলেন, পানির চাহিদা পুরন ও কৃষকদের সুুুুবিধার জন্য পুরনো খাল সংস্কার করা হচ্ছে। ভেকু দিয়ে খাল খনন করলে এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তিনি আরও বলেন এখন ৪৭ফুট খাল বেকু দিয়ে খনন করলে এলাকাবাসীর বসত ঘর, গাছপালা, কবরস্থানসহ মসজিদের ব্যাপক ক্ষতি হবে।

পিরোজপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন রায় বলেন, কোদাল দিলে খননের সুযোগ নেই। খাল খনন করার নকশা অনুযায়ী কাটা হচ্ছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)