পাথরঘাটায় দাফনের ৫ মাস পর পুলিশের জালে আটক সেই ফারুক

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৫ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯

আটক ফারুক আকনবরগুনার পাথরঘাটা বিষখালি নদীতে জেলেদের জালে হাত পা বাঁধা মাথা বিহীন লাশ নিজের দেবরের দাবী করে নিজ বাড়িতে দাফন করেন ভাবি রেহেনা বেগম। এর আগে ৩০ জুলাই পাথরঘাটা থানার ফারুক আকন নিখোঁজ মর্মে একটি সাধারণ ডায়রি করেন। দাফনের ৫ মাস পর থানায় ডায়রি ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে ২ ডিসেম্বর পুলিশের জালে আটকা পড়ে ফারুক আকন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানা পুলিশ পরিদর্শক সাইদ আহমেদ।

আটক ফারুক আকন উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের জালিয়াঘাটা গ্রামের মৃত হাতেম আলী আকনের ছেলে।

এদিকে ঐ লাশ দাফনের ১৫ দিন পর বরগুনার সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের আ. রহিম খানের ছেলে মো. সোহেল খানের লাশ দাবি করেন মা লাইলি বেগম। লাশের সাথে থাকা সাইকেলের চাবি ও জামা দেখে ছেলের লাশ সনাক্ত করলেন পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টে এর প্রমাণ মিললে আদালতের মাধ্যমে লাশ উত্তোলন করে সোহেলের নিজ বাড়িতে নিয়ে দাফন করে।

পাথরঘাটা থানা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফারুক আকনের সাথে প্রতিবেশী বাচ্চু হাওলাদারের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকাকালীন ঐ জমির কাগজপত্র নিয়ে উকিলের পরামর্শ নিতে পাথরঘাটা আসেন। পাথরঘাটা আসার পর থেকে ফারুকের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তার ভাইয়ের স্ত্রী রেহানা বেগম পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। থানায় অভিযোগের ১০ দিন পর বিষখালি নদীতে ঐ লাশ পাওয়ার পর তার স্বজনরা ঐ লাশটি ফারুক আকনের বলে সনাক্ত করেন। পরবর্তীতে ঐ লাশটি বরগুনার সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের আ. রহিম খানের ছেলে মো. সোহেল খানের লাশ নিশ্চিত হওয়ায় পুলিশের সংন্দেহ বেড়ে যায়।

এরপর মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে পাঁচ মাস পর ফারুক আকনকে জীবিত অবস্থায় আটক করা হয়।

পাথরঘাটা থানা পুলিশ পরিদর্শক সাইদ আহমেদ জানান, সোহেল হত্যার সাথে ফারুক আকনের কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আটক ফারুক আকনেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মল্লিক তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)