বরগুনায় রিফাত হত্যা মামলার চার্জ গঠনের শুনানির আদেশ ১ জানুয়ারি
বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে ১ জানুয়ারি।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) চার্জ গঠনের শুনানি শেষে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মোঃ মুসা এখনো পলাতক রয়েছেন। এছাড়া নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে রয়েছেন। আর অন্য সব আসামি কারাগারে রয়েছেন।
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন, রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মোঃ হাসান (১৯), মোঃ মুসা (২২), আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মোঃ সাগর (১৯), কামরুল ইসলাম সাইমুন (২১)।
এদিকে চার্জ গঠনের শুনানির দিন ধার্য থাকায় বৃহস্পতিবার সকালে বরগুনা কারাগারে থাকা ৮ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এছাড়াও আদালতে হাজির হন নিহত রিফাতের স্ত্রী ও মামলার প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি হওয়া আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
এ বিষয়ে রিফাত হত্যা মামলার বাদী পক্ষের মনোনীত আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বলেন, আজ ( ২৮ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার) জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে পাঁচ নম্বর পলাতক আসামি মুসা ব্যতীত অন্য সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
পরে শুনানিতে বাদি এবং আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তি আদালতে উপস্থাপন করেছেন। এরপর আদালত অধিকতর শুনানি ও চার্জ গঠনের আদাশের জন্য আগামি ১ জানুয়ারি ২০২০ এ মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
তিনি আরো বলেন, আদালতে উপস্থিত থাকা আট আসামির মধ্যে এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক তিন নম্বর আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত এবং নয় নম্বর আসামি মোঃ সাগর জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালতে তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের অভিযোগপত্র চার্জ গঠনসহ বিচারের জন্য প্রস্তুত করে জেলা ও দায়রা জজ আদাতনে প্রেরণ করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
গত ২৬ জুন বরগুনার সরকারী কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক; এ দু ভাগে বিভক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন।