পাথরঘাটায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রবাসীর স্ত্রীকে তিন বছর ধর্ষণ
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ১নং রায়হানপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড পূর্ব লেমুয়া গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তিন বছর যাবৎ ধর্ষণ করাসহ প্রবাসীর স্ত্রীর কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই ইউনিয়নের মো. খলিল সরদার এর ছেলে লেমুয়া ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর পরিচালক মো. ইমাম হোসেন (২৬) এর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভুগী ধর্ষীতা জানান তিন বছর পূর্বে তার স্বামী বিদেশ যাওয়ার পরে সহপাঠি ধর্ষক ইমামের সাথে তার পরিচয় হয়। পরে ইমামের সাথে মোবাইলে কথা বলা থেকে দুজনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায় ইমাম তাকে বিয়ে করার কথা বলে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলাসহ তার কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
ভুক্তভুগী বলেন তিনি ইমাম এর প্রতারণায় ফাঁদে পড়ে স্বামীর বিদেশ থেকে পাঠানোসহ ভাইদের বিদেশ থেকে পাঠানো কয়েক লক্ষ টাকা ইমামের হাতে তুলে দেন।
তিনি বলেন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শতাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে ইমাম। সম্প্রতি স্বামী দেশে আসলে বিষয়টি নিয়ে স্বামীর সাথে বিরোধ সৃষ্টির একপর্যায় তাকে তালক প্রদান করে।
এদিকে ইমামও তড়িগড়ি করে বিয়ে করে। পরে ভুক্তভুগী ইমামের কাছে জানতে চায় যে তিনি তাকে বিয়ে করবে কিনা এসময় ইমাম ভুক্তভুগীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকারসহ তাকে অস্বীকার করে বলে আমি আপনাকে চিনি না। একপর্যায় ভুক্তভুগী বরগুনা জেলা পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর হোসেন জোমাদ্দারের বরাবর একখান অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে সংশ্লীষ্ট এলকার শিকদার মো. রাজু, মো. মিজানুর রহমান সাগর, ইউপি সদস্য মো. খলিল, সাবেক ইউপি সদস্য মো. তারেকসহ একাধিক লোকের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ভুক্তভুগীর অভিযোগ সত্য প্রতারক ইমামের কঠিন বিচার হওয়া উচিত।
এব্যাপারে বরগুনা জেলা পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর হোসেন জোমাদ্দারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উল্লেখিত ঘটনায় ভুক্তভুগী আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইমামের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও সে রিসীভ না করায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।