কলাপাড়ায় ডাক্তার সঙ্কটে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত
অনলাইন ডেস্কঃ
তিন লক্ষাধিক মানুষ অধ্যুষিত কলাপাড়ায় ডাক্তার সঙ্কটে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজার হাজার রোগিরা। কলাপাড়া ও কুয়াকাটায় ৩৬ জন ডাক্তারের পদ রয়েছে। সেখানে কাগজপত্রে ১৩ ডাক্তার কর্মরত থাকলেও বাস্তবে রয়েছেন আট জন। বাকি পাঁচজন প্রেষণে রয়েছেন।
এরা হচ্ছেন নীলগঞ্জ ইউনিয়নে কর্মরত ডাক্তার এইচএম মাহবুব আলম ঢাকায়।
চাকামইয়া ইউনিয়নের ডাক্তার মো. কামরুজ্জামান পটুয়াখালীতে।
ডাক্তার রফিকুল ইসলাম নিজেই গুরুতর অসুস্থ।
ডাক্তার শঙ্কর কুমার পাল রয়েছেন ঢাকায়।
আশরাফুল ইসলাম রয়েছেন বরগুনায়।
ফলে চিকিৎসক সঙ্কটে রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বিশেষ করে গাইনি ও এনেসথিয়া বিভাগের কোন চিকিৎসক না থাকায় মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিতে আসা রোগিরা চরম বিপাকে পড়ছেন। ৩৬জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কলাপাড়া কিংবা কুয়াকাটায় একজন নারী চিকিৎসক না থাকায় নারী রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে স্বাচ্ছন্দবোধ করছেন না। কলাপাড়া ও কুয়াকাটায় বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ আট জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। যাতে আউটডোর ও ইনডোরে আগত রোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। বহু রোগী ঘন্টার ঘন্টা অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়।
কুয়াকাটা ২০ শয্যার হাসপাতাল চলছে দুই জন কলাপাড়া হাসপাতাল’ /> চিকিৎসক দিয়ে। এর মধ্যে একজন আবার প্রশিক্ষণে রয়েছেন। আর কলাপাড়ার ১২টি ইউনিয়নসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জোড়াতালি দিয়ে চলছে ছয় জন চিকিৎসক নিয়ে। এর মধ্যে অধিকাংশ সময় স্বাস্থ্য প্রশাসককে প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। ফলে সাগরপাড়ের এই জনপদের চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রোগীদের দাবি প্রেষণ বাতিল করে শুন্যপদে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক পদায়ন করা হোক। উপজেলা
স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার জানান, যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ইওসি বিভাগ চালুর জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কলাপাড়া হাসপাতালে কলাপাড়া উপজেলা ছাড়াও পাশের রাঙ্গাবালী এবং তালতলী উপজেলার অসংখ্য রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন।(সূত্রঃ সাগর কন্যা)
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১৪ মার্চ