পাথরঘাটায় পেঁয়াজের কেজি ২৬০ টাকা
বরগুনার পাথরঘাটায় পেঁয়াজের দাম লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলছে। গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা বেলায়েত হোসেন, সবুজ ও সেলিম পাথরঘাটা নিউজকে জানান, বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম এখন স্বর্নের মত হয়ে গেছে। আমরা খবরে দেখেছি বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমান পেঁয়াজের আমদানী হয়েছে, সেই পেঁয়াজ গুলো যায় কোথায়। সে গুলো কি আমাদের জন্য না? আবার খবরে এও দেখেছি পেঁয়াজ মজুধ করে রাখার কারনে পচে গেছে তা আবার বস্তা অবস্থাই চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। সরকার যদি সঠিক ভাবে তদারকি করতো তবে হয়তো এতটা সংকটে পরতে হতো না।
তারা আরো জানান, আমাদের সকলের এখন উচিত যার যার জমি আছে তাতেই পেঁযাজের আবাধ করা। তাতে কিছুটা হলেও সংকট কমে যেতো।
পাথরঘাটা পৌরশহরের ব্যাবসায়ী খুচরা জাকির হোসেন ও পারভেজ শরীফ পাথরঘাটা নিউজকে জানান, তঠাৎ করে পেঁয়াজের বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতাদের পাশাপাশি আমরা যারা খুচরা ব্যাবসায়ী তারাও বিব্রতকর অবস্থায় আছি। আগে প্রতি জন ক্রেতারা পেঁয়াজ ৫ থেকে ১০ কেজি ক্রয় করতো। এখন আধা কেজি তার বেশী হরে ১ কেজি ক্রয় করে তাও খুব কম। অনেকে আবার পেঁয়াজের দাম শুনেই চলে যায়।
পাইকারী ব্যাবসায়ী ছালাম শরিফ পাথরঘাটা নিউজকে জানান, আমি আর কখনো দেখিনি যে পোঁজের দাম এত বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল রোববার আমি ৬ বস্তা পেঁয়াজ খুলনা থেকে ৭৬হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। আগে ৭৬ হাজার টাকায় এই পেঁয়াজ ক্রয় করতে পারতাম দেড়শো বস্তা। পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্য সকল পন্যের দামও বৃদ্ধি পয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা নাগরিক অধিকার ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক শফিকুল ইসলাস খোকন পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, বর্তমানে সময়ে পেঁয়াজের যে মূল্য উর্ধ্বমুখি তা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। পেয়াজের দাম এত বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের মত নিম্নবিত্ত পরিবার গুলোর যে আয় তাতে এত টাকা দিয়ে কেনা সম্বর না। যেহেতু বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ তাই পেঁয়াজের অকালের অভিজ্ঞতাটাকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য কৃষির পাশাপাশি পেঁয়াজ চাষের প্রতি উৎসাহিত হতে হবে।
পাথরঘাটা মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম পাথরঘাটা নিউজকে জানান, আমাদের দেশের ব্যাবসায়ীদের মধ্যে একটি অসাধু সিন্ডিকেট আছে তাদের সাথে সরকারী দলের বা অন্য দলেরও কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীরা থাকতে পারে। তারা অধিক মুনফার জন্য মাঝে মাঝে একএকটা জিনিশের দাম এরকম বাড়ায়। সরকার যদি প্রথম থেকে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিত এবং মনিটরিংয়ে নিয়ে আসতো তবে পেঁয়াজের দাম এতটা বাড়তো না।