আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছে উপকূলের মানুষ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বাংলাদেশ-ভারত উপকূলের দিকে ক্রমশ ধেয়ে আসছে। উপকূলে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পাথরঘাটার উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে না গেলেও আজ শনিবার সকাল থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছেন। উপকূলীয় এলাকা পদ্মা, চরলাঠিমারা, গাববাড়িয়া বিষখালী নদী সংলগ্ন বেড়িবাঁধ ঘুরে দেখা গেছে, এখানকার বাসিন্দারা তাদের মালামাল নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটে চলেছেন, শিশু ও বৃদ্ধদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেচ্ছাসেবকরা আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন। বিষখালী নদী সংলগ্ন উত্তরণ আবাসনের বাসিন্দা আ. ছোবাহান আমাদের সময়কে বলেন, সিডরে সব কিছু খুয়াইছি, এখন কোন কিছু খুইতে চাইনা। তাই আমরা সকলেই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে অবস্থান নিয়েছি। এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলকে কেন্দ্র করে উপকূলবর্তী এলাকায় ১০ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পরে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেচ্ছাসেবকরা মাইকিং শুরু করেছে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, সেচ্ছাসেবী সংগঠন ও রোভার স্কাউটের সদস্যরাও উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয় যাওয়ার জন্য কাজ করছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ও মুন ফেজ এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিন্মঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির আমাদের সময়কে বলেন, আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। শুক্রবার রাত থেকেই বেড়িবাঁধ এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিরাপদে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। এখনও মাইকিং চলছে। নিরাপদ স্থানে আশ্রয় কারীদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে