ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ধেয়ে আসছে, ফুঁস উঠছে বঙ্গোপসাগরে
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে সর্তক সংকেত বাড়ল। ১ নম্বরের পরিবর্তে সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হচ্ছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণেও নিষেধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভোর ৬টায় ‘বুলবুল’-এর অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই হুঁশিয়ারি সংকেত দেয়া হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৩টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে এক নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলে আসছিল আবহাওয়া অফিস।
৭ নভেম্বর সকাল ৮টায় আবহওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ সামান্য উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার বন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা বন্দর থেকে ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৮৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।