আমতলীতে গলায় ফাঁস দিয়ে সিনিয়র নার্সের আত্মহত্যা
বরগুনার আমতলী পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের একটি ভাড়া বাসায় ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক সিনিয়র স্টাফ নার্স আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে এই ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নার্সের নাম মোসা: রাবেয়া বেগম (৫৫)। তিনি আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও আইনজীবী এ্যাড. এম. ইসহাক বাচ্চুর স্ত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্বামী আইনজীবী এ্যাড. এম. ইসহাক বাচ্চু ও একমাত্র সন্তান কলেজ ছাত্রী ইসরাত জাহান ইভাকে নিয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোসা: রাবেয়া বেগম (দৃপ্তি) হাসপাতাল রোডের কামাল তালুকদারের বাসার দোতলায় ভাড়া থাকতেন। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সকালে কোনো একসময় সবার অগোচেরে একটি রুমের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন রাবেয়া বেগম। এ সময় পরিবারের সদস্যরা সকলে ঘুমিয়ে ছিলেন।
পরে স্বামী এম. ইসহাক বাচ্চু ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে না দেখে দরজা খুলতে গিয়ে সেটা বাইরে থেকে বন্ধ দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকি করার পরে পাশের রুমে থাকা মেয়ে ইভা এসে দরজা খুলে দেয়। মেয়েকে ওর মায়ের কথা জিজ্ঞেস করায় সে বলে আমার রুমে আসেনি। পরে ঘরের আর একটি রুমের দরজা খুলে স্ত্রীকে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা আমতলী থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহত রাবেয়া বেগমের একমাত্র সন্তান কলেজছাত্রী ইসরাত জাহান ইভা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, বাবাকে ঘরের ভিতরে রেখে বাইরে থেকে দরজা আটকিয়ে পাশের রুমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে আমার মা।
আমতলী থানার ওসি মো: আবুল বাশার বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাবেয়া বেগম (দৃপ্তি) গত ২ বছর পূর্বে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশয়ী অবস্থায় ছিলেন। এরপর থেকে তিনি নানাবিধ শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত সপ্তাহেও তিনি স্বামীকে নিয়ে ঢাকা থেকে চিকিৎসা করে ফিরে এসেছিলেন।