রিফাত শরীফ হত্যায় রিফাত ফরাজীর স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০১:০৯ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০১৯

রিফাত শরীফ হত্যায় রিফাত ফরাজীর স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন / ছবিঃ সংগ্রহীতবরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক প্রধান আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজীর আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তেদের বিচারের জন্য বরগুনার শিশু আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে মামলার ধার্য তারিখে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিফাত ফরাজীর স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। কিন্তু এ মামলার মূল নথি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে থাকায় স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের শুনানি হয়নি।

এছাড়া এ মামলার পরবর্তী তারিখ ৬ নভেম্বর ধার্য করেছেন বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী। একই সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তদের মামলার পরবর্তী তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ নভেম্বর।

এ বিষয়ে রিফাত হত্যা মামলার বাদী পক্ষের মনোনীত আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু জানান, রিফাত হত্যা মামলার সব অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা আদালতের হেফাজতে রয়েছেন। তাই শিশু আসামিদের বিচারের জন্য মামলাটি শিশু আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া, এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক প্রধান আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজীর আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু মামলার মূল নথি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে থাকায় স্বীকারোক্তি প্রত্যারের শুনানি হয়নি। মূল নথি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৌঁছালে স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের শুনানি হবে।

তিনি আরও বলেন, রিফাত হত্যা মামলার আসামি কামরুল হাসান সাইমুনের আগামী ১১ নভেম্বর একটি পরীক্ষা আছে। এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন সাইমুন। সাইমুনের পরীক্ষার প্রবেশপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত সাইমুনকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেবে।

গত ২৬ জুন রিফাত হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। ২৭ জুন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ।

এ মামলার তদন্ত শেষে গত ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

অভিযোগপত্রভুক্ত ২৪ আসামির মধ্যে আটজন বরগুনা জেলা কারাগারে এবং ১৩ জন যশোর শিশু ও কিশোর সংশোধনাগারে রয়েছেন। এছাড়া দুইজন আসামি জামিনে রয়েছেন। আর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মুসা এখনো পলাতক রয়েছেন।(সূত্রঃ বাংলানিউজ২৪.কম)

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)