গলাচিপায় ইউএনওর সহায়তায় মাছ লুট করল উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ইউএনওর সহায়তায় মৎস্যচাষিদের মাছ লুট করে নিয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই ও তার বাহিনীরা।
আদালত কর্তৃক স্থিতাদেশানুযায়ী সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিতে গেলে সরকারি স্বার্থের অজুহাতে তা বারণ করেন ইউএনও।
এর আগে ইউএনওসহ কতিপয় বিবাদীকে আদালতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলেও মানা হয়নি।
শনিবার প্রকাশ্যে গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন শাহের ভাই হাসান প্যাদা ও তার লোকজন এ মাছ লুট করে।
ক্ষতিগ্রস্ত গলাচিপা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাকুর অভিযোগ করে বলেন, বিবদমান গলাচিপা উপজেলার দায়ীবাড়ির খাল নিয়ে পটুয়াখালীর গলাচিপা সহকারী জজ আদালতে মামলার একপর্যায় আদালত স্থিতাদেশ দেন।
মূলত ইউএনও কর্তৃক ওই খালটির দরপত্র নিয়ে নাটকীয়তার একপর্যায়ে গত ৫ জুলাই রতনদি কালিকাপুর মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শাকুর মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রথমে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব, গলাচিপা ইউএনও, সমিতির সভাপতি সাইদুল ইসলামসহ সব বিবাদীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
পরে ৭ অক্টোবর সহকারী জজ আদালতের বিচারক আনোয়ার গনি খান ইজারা প্রদান বন্ধ, বাদীর চাষকৃত মাছ ধরা নিষেধ উল্লেখ করে স্থিতাদেশ দেন। কিন্তু মামলার বিবাদী গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন শাহের ভাই হাসান প্যাদাসহ তার লোকজন ওই খালের মাছ ধরার প্রস্তুতি নিলে বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ বাধা দেয়।
এসআই জাফর জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সরকারি স্বার্থ জড়িত আছে বলে ইউএনও নীরব থাকতে বলেন। পরে পুলিশ নিয়ে চলে আসেন।
ক্ষতিগ্রস্ত শাকুর অভিযোগ করেন, ইউএনও স্যার যে সমিতিকে ইজারা দিতে চান তার কোনো সঠিক কাগজপত্র নেই। উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাইয়ের সমিতি বলে লিজ দিতে তিনি উঠে পরে লেগেছেন। এ ছাড়াও আমি নিজে ইউএনও স্যারকে আদালতের স্থিতাদেশ দিতে বলেছি কিন্তু তিনি রাখেনি।
এ প্রসঙ্গে ওই সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ইউএনও স্যার আমাদের ইজারার অনুকূলে কার্যাদেশ দিয়েছেন। ওটা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন শাহের ভাই হাসান প্যাদা এবং আমাদের সমিতির খাল। সরকারি নিয়ম মেনে ইজারা নিয়েছি।
মাছ ধরা হয়েছে কিনা এমন পশ্নে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন আগে ইউএনও স্যার মাছ ধরার একটা প্রোগ্রাম করেছিলেন। ইউএনওর পারমিশন নিয়ে খালে এলাকার যুবকরা মাছ ধরছে। কোনো আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়নি।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা ইউএনও শাহ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থিতাবস্থা আমি শুনেছি, কিন্তু দেখিনি। ওই লোক শুধু এই সাংবাদিক, ওই সাংবাদিক ধরে কিন্তু আমার কাছে আসেন না।
তিনি বলেন, আদালত ওই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন ৩০ অক্টোবর। কিন্তু এর মধ্যে স্থিতাদেশ কেমনে করে আসল।
তার নির্দেশে মাছ ধরে নিয়ে গেছে এমন প্রশ্নে ইউএনও বলেন, মাছ তো নেই। কার পুকুরে কে মাছ ছারছে আর কে ধরছে। শুধু ইজারা দিয়েছি মাছ আসল কেমনে। মাছ ধরছে কিনা তাও যানি না।(তথ্য সূত্রঃ যুগান্তর)