পাথরঘাটায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাবেক ছাত্রদল নেতার জাবজ্জীবন

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৯ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৯

কামরুন্নাহার সেতুবরগুনার পাথরঘাটায় সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জিয়াউল হক ছোট্টকে পাথরঘাটা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সেতুকে হত্যা মামলায় জাবজ্জীবন কারাদন্ড ও বিশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে এবং অন্য তিন আসামী নির্দোশ হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাশ দিয়েছে আদালত।

বুধবার (২৩ আক্টোবর) দুপুরে বরগুনা নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যূনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় প্রদান করেন।

মামলার অন্য আসামীরা হলো, জিয়াউল হক ছোট্টর স্ত্রী নাহিদ সুলতানা লাকি, আবদুল্লাহ আল মামুন কাজী ও আনিচুর রহমান রেজবি খান। তাদের সকলের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার পৌর এলাকায়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৯ জুন আসামীরা পাথরঘাটা কলেজের ২০১২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী কামরুন্নাহার সেতুকে (১৭) নিমর্ম নির্যাতন করে মৃতু নিশ্চিত করে বিষ খাইয়ে হত্যা করে আসামীরা। পরদিন ৩০ জুন সেতুর বড় ভাই নজরুল ইসলাম রিপন বাদি হয়ে মামলা করেন। দীর্ঘদিন মামলা চলার পরে চাঞ্চল্যকর সেতু হত্যা রায় দেযা হয়।

আরো পড়ুনঃ পাথরঘাটায় সেতু হত্যা মামলায় ছোট্টর যাবজ্জীবন কারাদন্ড


আসামীর পক্ষের কৌশুলী ছিলেন অ্যাড. কমল কান্তি রায় ও সরকার পখে পিপি মোস্তাফিজুর রহমান।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৯ জুন শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পৌরসভা সংলগ্ন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিয়াউল হক ছোট্টর বাসায় পাথরঘাটা ডিগ্রি কলেজের ২০১২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী কামরুন্নাহার সেতু (১৭) স্ত্রীর অধিকার পেতে পাওয়ার জন্য যায়। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায় জিয়াউল হক ছোট্ট ও তার স্ত্রী নাহিদ সুলতানা লাকীসহ ৪থেকে ৫জন মিলে জোর পুর্বক বিষ খাইয়ে দিয়ে ঘর থেকে নামিয়ে দেয়। ওই সময় সেতু তার মা হোসনেয়ারা পাখিকে মোবাইলে বলেছে ছোট্টসহ ৪ থেকে ৫ জনের তাকে বিষ খাইয়ে দিয়ে ঘর বের করে দেয়ার কথা বলে। এ সময় সেতুর কান্নাকাটি শুনে স্থানীয় লোকজন উপজেলা স¦াস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রাত দুটার দিকে সেতুর মৃত্যূ হয়। দীর্ঘ ৮ বছরের মাথায় এসে চাঞ্চল্যকর সেতু হত্যা মামলার রায় হলো।

খালাশ প্রাপ্ত আসামী আবদুল্লাহ আল মামুন ও রেজবি খান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমাদেরকে অহেতুক মামলায় জড়ানো হয়েছিল। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।

আসামীর পক্ষের কৌশুলী অ্যাড. কমল কান্তি রায় জানান, ৪ জন আসামীর মধ্যে ৩জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন অন্য আসামী উপস্থিত ছিলো না। আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে জাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে, তবে হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হয়নি। আমরা উচ্চ আদালতে ন্যায় বিচারের জন্য যাব।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)