পাথরঘাটা থেকে আড়াই মাস পর আদালতের নির্দেশে ছেলের লাশ পেল মা!

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১১:৪৬ এএম, ২২ অক্টোবর ২০১৯

পাথরঘাটা থেকে আড়াই মাস পর আদালতের নির্দেশে ছেলের লাশ পেল মা!অবশেষে বরগুনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে কবর থেকে সোহেল নামের এক যুবকের লাশ উত্তোলন করে পরিবারের হাতে হস্তান্তর করেছেন তার স্বজনরা।

সোমবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সকাল ১০টার দিকে কাকচিড়া ইউনিয়নের রূপধন গ্রামের একটি কবর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, ১০ আগস্ট বরগুনার বিষখালী নদী থেকে হাত-পা বাঁধা মস্তকবিহীন একটি লাশ উদ্ধার করে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। এ বিষয়টি বরগুনা সদর থানাসহ জেলার সব থানাগুলোতে অবহিত করে পুলিশ।

পরে পাথরঘাটার কাকচিড়া ইউনিয়নের রূপধন গ্রামের ফারুক আকন নামে নিখোঁজ এক ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করে স্বজনরা দাফন করে ওই লাশটি।

পাথরঘাটার রূপধন গ্রামের ফারুক আকন নামে একজন নিখোঁজ হলে ফারুকের বড় ভাইয়ের স্ত্রী পাথরঘাটা থানায় ৩০ জুলাই সাধারণ ডায়েরি করেন।

অপর দিকে বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের আবদুর রহিম খানের ছেলে সোহেল খান নিখোঁজ হয় ১ আগস্ট। বরগুনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্বজনরা।

সম্প্রতি লাশটির ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট আসে পুলিশের হাতে। ডিএনএ টেস্টে জানা গেছে, লাশটি সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের রহিম খানের ছেলে সোহেল খানের।

পরে ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট আদালতে জমা দেয়া হয়। আদালত নির্দেশ দেয় লাশটি উত্তোলন করে সোহেলের বাবা আবদুর রহিম খানের কাছে হস্তান্তরের জন্য।

নিহত সোহেলের মা-বাবার অভিযোগ, যেদিন লাশটি পাওয়া গেছে সেদিন বরগুনা সদর থানার পুলিশ যদি তাদের ডেকে লাশ শনাক্ত করার জন্য বলত তাহলে এই দুর্ভোগ পরতে হতো না। সোহেলের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।

বরগুনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ানুর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশে সোহেলের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)