পাথরঘাটায় সন্ত্রাসীদের ভয়ে ব্যবসায়ী দিশেহারা

জাফর ইকবাল
জাফর ইকবাল, সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০১৯

পাথরঘাটায় সন্ত্রাসীদের ভয়ে ব্যবসায়ী দিশেহারাবরগুনার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড গহরপুর গ্রামের মৃত কেতাব আলী মাষ্টারের ছেলে শরীফ ট্রেডার্স ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ছত্তার শরীফ সন্ত্রাসীদের ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।

জমি সংক্রন্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা ছত্তার শরীফকে মারধর করে আসছে। এঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় তারা আরো বেপরোয়া হয়ে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে আসছে বলে ভুক্তভুগী ছত্তার শরীফ জানিয়েছেন।

এলাকাবাসী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে চলতি বছরের ৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে উল্লেখিত ছত্তার শরীফ ডায়বেটিকস এর রোগী হওয়ায় নিজ বাড়ির সামনের রাস্তায় হাটতে ছিলেন। এসময়ে একই এলাকার প্রায়ত আঃ করিম খানের ছেলে আঃ ছালাম খান (৫৩), আইয়ুব আলী আকনের ছেলে আঃ জব্বার আকন (২৮) ও আইয়ুব আলী আকন (৫৫) জমি সংক্রন্ত বিরোধের জের ধরে ছত্তার শরীফকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে পিছন থেকে তার মাথায় স্থানীয় দা ও লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরতর রক্তত্ব যখম করে। একপর্যায় এলকাবাসী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ছত্তার শরীফকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করলে তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এঘটনায় ১৪ সেপ্টম্বর উল্লেখিত ব্যক্তিদের আসামী করে পাথরঘাটায় থানায় মামলা দায়ের করেন ছত্তার শরীফ যার নং ৮/১৯৫।

ছাত্তার শরীফ জানান আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় তারা আরো বেপরোয়া হয়ে তাকে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে আসছিল। তারই দ্বারাবাহীকতায় ১১ অক্টোবর সকাল সাড়ে আটার দিকে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করার সময় উল্লেখিত মামলার ১নং আসামী আঃ ছালাম খান ও তার স্ত্রী মোসাঃ মনোয়ারা বেগম (৪৮) ছেলে মো. রাসেল (২০) এবং তার বোন তাছলিমা (৫০) তার ওপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। এসময়েও তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে তার অন্ডোকোস চেপে ধরে। পরে তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে প্রাণে রক্ষা করে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করলে তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পূনরায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এব্যাপারে ছত্তার শরীফ বলেন উল্লেখিত ব্যক্তিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, তারা উপজেলার কতিপয় নেতাদের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তিনি বলেন সন্ত্রাসীদের ভয়ে বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি, সন্ত্রাসীরা যেকোন সময় আমাকে মেরে ফেলতে পারে।

উল্লেখিত আঃ ছালাম খান এর ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য এর আগে আঃ ছালাম খান এর আপন ভাই মো. নিজাম খান, একই এলাকার প্রায়ত হাজ্বী আবুল হাসেম এর ছেলে মো. ইদ্রিস মীর ,মজিবর মোল্লার ছেলে মো. হারুন মোল্লা, মহের উদ্দিনের ছেলে মো. কুদ্দুছ, মুজাই হাওলাদারের ছেলে মো. জালাল উদ্দিন, ছোমেদ তালুকদারের ছেলে মো. হেমায়েত তালুকদার, হাতেম খানের ছেলে মো. খালেক খান, মো. মজিদ শিকদারের ছেলে মো.রফিক শিকদারসহ একাধিক লোকে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হয়েছে।

উল্লেখিত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের মামলায় আঃ ছালাম জেল খাটলেও জেল থেকে জামিনে বের হয়ে পূনরায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে। উল্লেখিত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায়ত হাজ্বী আবুল হাসেম এর ছেলে মো. ইদ্রিস মীর বলেন উল্লেখিত ছালাম খান একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী সে কয়েক বছর পূর্বে আমার বোন মোসাঃ ফাতিমাকে বস্তা বন্ধি করে হত্যা করতে গেলে এক রিক্সা চালকের কারনে আমার বোন প্রাণে বেচে যায়। তিনি আরো বলেন আঃ ছালাম ইতি পূর্বে আমাকে বেধম ভাবে পিটিয়েছে এবং বর্তমানেও আমাকে প্রাণেমেরে ফেলার হুমকী দিয়ে আসছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)