কাউন্সিলরের টর্চার সেলে জেলেকে নির্যাতন

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০২:০২ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

---

পাথরঘাটায় মোবাইল চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে এক জেলেকে হাত-পা বেঁধে কারেন্টের শকসহ শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাথরঘাটা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারিকুল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে নতুন বাজার খাদ্যগুদামের সামনে কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত অফিসের টর্চার সেলে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত জেলে আনোয়ার হোসেনকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আনোয়ার হোসেন কাউন্সিলরের প্রতিবেশী আয়নাল মল্লিকের ছেলে। বরগুনা জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মান্নান মাঝি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

জেলে আনোয়ার জানান, তিনি ও নাসির নামে একজন মহারাজ ঠিকাদারের মালিকানাধীন এফবি বার আউলিয়া নামের একটি ট্রলারে সাগরে মাছ ধরতেন। ট্রলারের মাছ বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে নাসির ও আনোয়ারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি নিয়ে নাসির কাউন্সিলরের কাছে নালিশ জানালে আনোয়ারকে ধরে আনার নির্দেশ দেন কাউন্সিলর লিটন। শুক্রবার সকালে নাসির স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী ভাড়া করে তার বাড়ি থেকে ধরে এনে নাসিরের বাসায় নিয়ে এক দফা কারেন্টের শক দিয়ে আনোয়ারকে নির্যাতন করে। পরে ১১টার দিকে কাউন্সিলরের অফিসে নিয়ে এলে আনোয়ারকে হাত-পা, চোখ ও মুখ বেঁধে প্রচণ্ড নির্যাতন করা হয়।

আনোয়ারের মা কমলা বেগম জানান, ‘এই কাউন্সিলর খুব প্রভাবশালী। তার বিরুদ্ধে আমরা যদি কোনো জায়গায় বিচার চাইতে যাই তাহলে আমাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। তাই আমি কোনো জায়গায় এখন পর্যন্ত বিচার চাইতে যাইনি। তাছাড়া এই এলাকা ছাড়ার জন্য কাউন্সিলর আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমার ছেলে সুস্থ হলে আমি বাড়িঘর বিক্রি করে চলে যাব। তা না হলে কাউন্সিলর আমাদের মেরে ফেলবে।’

এ বিষয় কাউন্সিলর লিটন জানান, ‘আনোয়ার একজন দাগী চোর। সে প্রায়ই অন্যের মোবাইল ফোন চুরি করে। তার ভয়ে এলাকার মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। তাকে এলাকাছাড়া করতে না পারলে আমার ওয়ার্ডে কোনো শান্তি ফিরে আসবে না। তিনি মারধরের কথা স্বীকার করেছেন।’
সুত্রঃ দৈনিক সমকাল

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)