মানতের ছাগল না দেয়ায় এতিমখানার বাবুর্চিকে পেটালেন মোকমিয়া পীর সাহেব
বরগুনার বেতাগীতে এতিমখানার মানতের ছাগল পীর সাহেবকে না দেয়ায় এতিমখানার বাবুর্চিকে নির্মমভাবে বেত্রাঘাতে পিটিয়ে আহত করেছেন মোকামিয়া দরবার শরীফের পীর সাহেব শাহ মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস। আহত বাবুর্চি আব্দুল করিম বিচার চেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে লিখিত আবেদন করলে বিচারের আশ্বাস দেন তিনি।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেতাগীর মোকামিয়া দরবার শরীফ হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় জনৈক ভক্ত মানতের একটি ছাগল প্রদান করেন। এতিমখানায় আর্থিক সংকট থাকায় পীফেরদৌসকের সাহেব শাহ মো. মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসকে না দিয়ে বিক্রি করে উক্ত টাকা দিয়ে এতিমখানার জন্য চাল-ডাল ক্রয় করেন বাবুর্চি। ছাগল না পেয়ে দরবার শরীফের গদিনশিন পীর ও মোকামিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহ মো. মহমুদুল হাসান ফেরদৌস ক্ষিপ্ত হয়ে এতিমখানার বাবুর্চি আব্দুল করিমকে তার রুমে ডেকে নেন। বাবুর্চিকে পীর সাহেব তার পায়ের কাছে মাটিতে বসিয়ে বেত দিয়ে নির্মমভাবে পেটান। এতে বাবুর্চি মারাত্মকভাবে আহত হন। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করলে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন তিনি। পরে আহত বাবুর্চি আ. করিম স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনার বিচার চেয়ে মঙ্গলবার আব্দুল করিম বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বরাবরে আবেদন করেন। আবেদন পাওয়ার পর এমপি রিমন মোকামিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে এমপি রিমন বাবুর্চিকে পেটানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, একজন পীর সাহেবের পক্ষে এমন জঘন্য কাজ করা ঠিক হয়নি। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে। সবার সহযোগিতা পেলে এ দরবার ও মাদ্রাসার দুর্নীতি বন্ধ করা হবে। দরবারে টাকায় পীর সাহেব আলিশান বাড়ি বানিয়ে জীবনযাপন করছেন অথচ দরবারের মসজিদটি আজও জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। পীরসাহেব সব সময় ব্যক্তিগত আরাম-আয়েশে ব্যস্ত থাকায় মাদ্রাসা ও লিল্লাহসহ বোডিংয়ের খোঁজ রাখেন না।এ বিষয়ে ঢাকায় অবস্থানরত পীর সাহেব শাহ মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান, আমার মুরীদের সঙ্গে আমার বিষয়ে অসৌজন্যমূলক মন্তব্য করায় তাকে জিজ্ঞাসা করেছি এবং ধমক দিয়েছি। মারপিটের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।