পাথরঘাটায় বাজার থেকে সরানো হয়নি নিষিদ্ধ রেনিটিডিন, চলছে বিক্রি

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০:২৪ এএম, ৭ অক্টোবর ২০১৯

বাজার থেকে সরানো হয়নি নিষিদ্ধ রেনিটিডিন, চলছে বিক্রিগ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বহুল প্রচলিত ওষুধ রেনিটিডিনে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান পাওয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে ওষুধটি। সেই অনুসারে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশেও ওষুধটির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। একইসঙ্গে বাজার থেকে এই ওষুধ তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ওষুধ শিল্প সমিতি। তবুও ৪দিন অতিবাহিত হলেও এখনো বরগুনার পাথরঘাটায় বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ গ্যাস্ট্রিক জনিত ওষুধ রেনিটিডিন।

সোমবার (৭ অক্টোবর) পাথরঘাটা বাজারের ঘুরে দেখা গেছে, ওষুধের দোকানগুলোতে এখনো বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ রেনিটিডিন। শুধু ট্যাবলেটই নয়, রেনিটিডিনের সিরাপ এমনকি ইনজেকশনও বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।

পাথরঘাটা বাজারের খুচরা ওষুধ বিক্রেতাদের কাছে খোজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত কোম্পানি রেনিটিডিন ওষুধ ফিরিয়ে নিয়ে যায়নি। বরং আগের মতোই ওষুধটি বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন করে রেনিটিডিন ওষুধ দিচ্ছে না কোম্পানিগুলো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাথরঘাটার খুচরা ওষুধ বিক্রেতারা জানান, গ্যাস্ট্রিকের জন্য মানুষ এক বাক্যেই রেনিটিডিন আর ওমিপ্রাজলকেই চেনে। তাই চাহিদা থাকার কারণে এই ওষুধ প্রচুর পরিমাণে আমরা কিনে রাখতাম। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বা কম্পানীর লোকজনও আমাদেরকে কোন নির্দেশনা দেননি। এদিকে ওষুধ কোম্পানিগুলো নতুন রেনিটিডিনের চালান না দিলেও পুরনো রেনিটিডিন ফেরত নিয়ে যায়নি। আর চাহিদা বেশি থাকায় দোকানগুলোতে সব সময় ব্যাপক পরিমাণ রেনিটিডিন রাখা হতো। সব মিলিয়ে ক্রেতাদের চাহিদানুসারে বাজারে থাকা রেনিটিডিনগুলো প্রচুর পরিমানে বিক্রি হচ্ছে।

পাথরঘাটা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগ সমিতির সাধারন সম্পাদক তানভীর হোসেন পাথরঘাটা নিউজকে জানান, আমরা এরকম একটি খবর শুনেছি, তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা আসেনি। আমাদোর কাছে নির্দেশনা না আসার কারনে এ উপজেলার সকল ফার্সেসিতেই রেনিটিডিন বিক্রি হচ্ছে।

এবিষয়ে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের চিকিৎসক খালিদ মাহমুদ আরিফ পাথরঘাটা নিউজকে জানান, সকল ওষুধের উপরে এ নিষেধাজ্ঞা বসানো হয়নি। অল্প কিছু প্রডাকের উপরে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)