বামনায় ইটভাটার ম্যানেজারের সন্ধান নিখোঁজের ১৪ দিনেও মেলেনি
নিখোঁজের ১৪ দিন পরেও বরগুনার কাকচিড়া মা ব্রিকস্ নামের ইটভাটার ম্যানেজারের সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ ওই ম্যানেজার ইটভাটার মালামাল আনার জন্য গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় যান। তিনি ঢাকা থেকে ২২ সেপ্টেম্বর রওয়ানা হয়ে আসার পথে নিখোঁজ হন।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ গুদিঘাটা গ্রামের রনজিত হাওলাদারের ছেলে কমল কান্তি নামের ওই ম্যানেজারের নিখোঁজকে রহস্যজনক দাবি করেছে তার পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে নিখোঁজ কমল কান্তির স্ত্রী অনিতা বলেন, ‘আমার স্বামী মা ব্রিকস্ ইটভাটার মালিক মেস্তফা ফকিরের বিশ্বস্ত হওয়ায় সকল দায়িত্ব তার উপর ছিল। যা মালিকের কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন মেনে নিতে পারেনি।’
অনিতা আরও বলেন, ‘ইটভাটার কোন মালামাল লাগলে ঢাকা থেকে তার স্বামীই আনতেন। প্রতিবার তার সঙ্গে লোক পাঠানো হলেও অজ্ঞাত কারণে গত ২১ সেপ্টেম্বর তাকে একাই ঢাকায় পাঠানো হয়। পরের দিন ২২ সেপ্টেম্বর আমার স্বামী ঢাকা থেকে রওয়ানা হলে ভোর ৫ টার সময়ও তার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়। তখন সে জানায়, আমি মাওয়ায় এসেছি। এরপর তার ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে আর পাওয়া যায়নি। পরে অনেক খুঁজে তাকে না পেয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বামনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। যার নং-১১৮৪।’
সংবাদ সম্মেলনে অনিতা রানী জানান, এরপরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত একটি নাম্বার থেকে আমার স্বামীর ভাই বিভূতি ভূষণের কাছে ফোন করে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এর পরে স্বামীর খোঁজের জন্য ইটভাটার মালিক পক্ষের সহায়তা চাইলে তারা জানায়, ২২ সেপ্টেম্বর সকাল সারে ৮টায় মাওয়া থেকে স্পিডবোটে নদী পাড় হওয়ার সময় দুর্ঘটনায় সে নিখোঁজ রয়েছে। এ ব্যাপারে খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, ওই দিন স্পিডবোট ডুবলেও তাতে একজন মহিলা নিখোঁজ হয়।
অনিতা দাবি করেন, ‘সব কিছু মিলিয়ে আমার স্বামী নিখোঁজ হওয়া রহস্যজনক। তাই বামনা থানায় করা সাধারণ ডায়েরি বিবেচনা করে তদন্ত করে তার স্বামী নিখোঁজের বিষয়টি উদঘাটন করা হোক।’
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, নিখোঁজ কমলেশের বাবা রনজিত হাওলাদার, মেসো মুক্তিযোদ্ধা বলহরি ও ভাই বিভূতি ভূষণ।