পাথরঘাটায় চোর ঘুষি মেরে ৩টি দাতঁ ফেলে দিলেন মাদরাসা শিক্ষকের
বরগুনার পাথরঘাটায় সুপারি চুরি করার অভিযোগ দিয়ে ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে ফিরে আসার সময় চোর দুলাল প্যাদার ঘুষিতে মাদরাসা শিক্ষক মো. আলমগীরে হোসেনের ৩টি দাত পরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী পারভীন বেগম।
এর আগে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কালীবাড়ী গ্রামে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
আলমগীর হোসেন কাঠালতলী ইউনিয়নের কালীবাড়ী গ্রামের আবুল হোসেন মাস্টারের ছেলে ও তালুকের চরদুয়ানী নেছারিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক।
অভিযুক্ত দুলাল একই গ্রামের মৃত হাচন প্যাদার ছেলে।
লিখিত অভিযোগে স্ত্রী পারভীন বেগম বলেন, গত রোববার স্থানীয় দুলাল প্যাদা আমার বাড়ির সুপারি চুরি করায় স্বামী আলমীর হোসেন ইউপি সদস্য শাহ জালালের কাছে অভিযোগ করে বাড়ি ফিরে আসার সময় পিছন থেকে মারধর শুরু করেন। দুলালের মারধরে আমার স্বামীর সামনের ৩টি দাতঁ পরে যায়। এসময় স্থানীয়রা আলমগীরকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে দুলাল স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি হতে গেলে চিকিৎক তাকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেরে দিলে পরে আবার তার মাথায় নিজেই আঘাত করে ভর্তি হন।
পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক কানিজ ফাতিমা রিমু পাথরঘাটা নিউজকে জানান, দুলাল প্যাদার ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া মত কোন ইনজুরি হয়নাই। পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অনুরোধ করায় তাকে ভর্তি নেয়া হয় তবে তার তেমন কোন গুরুতর সমস্যা নেই।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ জালাল মারধরের ঘটানার কথা স্বীকার করে পাথরঘাটা নিউজকে জানান, দুলাল প্যাদা আলমগীরকে মারধর করায় তার সামনের ৩টি দাত পরে গেছে। তাকে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।