বাংলাদেশী জলসীমায় প্রবেশের অপরাধে ভারতীয় ১৫ জেলে আটক
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের দায়ে ১৫ জন ভারতীয় জেলে আটক হয়েছেন। এসময় এফবি মা লক্ষ্মী নামে মাছ বোঝাই একটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারও জব্দ করা হয়।
মোংলা বন্দর থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে এসব জেলেদের আটক করা হয়।
এই ঘটনায় বিএনএস মোংলা নৌঘাটির পেটি অফিসার মো. আবুল মঞ্জুর বাদী হয়ে আটক জেলেদের বিরুদ্ধে ১৮৯৩ সালের সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশের ২২ ধারায় মংলা থানায় একটি মামলা করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে আটক জেলেদের বুধবার সকালে বাগেরহাটের মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোংলা থানা পুলিশ বুধবার দুপুরে আটকদের বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটক জেলেরা হলেন- ভোলানাথ দাস (৬০), মিন্টু দাস (২৫), বাবুল সরকার (৪২), উত্তম দাস (২৬), কিরণ দাস (৬৫), রাজেশ দাস (৩৩), কার্ত্তিক দাস (৪৫), আনন্দ দাস (৫০), নেপাল দাস (২৬), বাসুদেব দাস (৩০), সূর্য্য দাস (২৬), উত্তম দাস (৩৫), সোনারাম দাস (৫১), বিমল দাস (৪৮) ও পিল্টন দাস (২৩)। এদের বাড়ি ভারতের পশ্চিম বঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁকদ্বিপ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার রাতে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় নিয়মিত টহল দেয়ার সময় নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস নিশানের সদস্যরা বাংলাদেশ জলসীমায় একটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলার দেখতে পায়। পরে তারা সেখানে গিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে এফবি মা লক্ষ্মী নামের মাছ বোঝাই ওই ফিশিং ট্রলারসহ ১৫ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে। বঙ্গোপসাগর থেকে ফিরে আটক হওয়া ওই জেলেদের বুধবার সকালে মোংলা থানায় হস্তান্তর করে বিএনএস মোংলা নৌঘাটির সদস্যরা। এই ঘটনায় নৌবাহিনী আটক জেলেদের বিরুদ্ধে ১৮৯৩ সালের সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশের ২২ ধারায় মংলা থানায় একটি মামলা করেছে। দুপুরে তাদের আদালতের নির্দেশে বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।(সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন)