বরগুনা থেকে নিখোঁজ গৃহবধূ ১মাস পর পাথরঘাটা থেকে উদ্ধার

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৩৪ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১০:৩৯ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বরগুনা থেকে নিখোঁজ নারী ১মাস পর পাথরঘাটায় উদ্ধার হওয়া মুন্নি
বরগুনা সদর উপজেলার লাকুরতলা এলাকার নিজ বাসা থেকে অনামিকা মুন্নি (৩৬) নামে এক গৃহবধূ নিখোঁজ হওয়ার ১ মাস পরে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের কামারের হাট এলাকার ৫ নম্বর এলাকার ঐ গৃহবধূর ফুফা আব্দুল মান্নান ফকিরের বাড়ি থেকে সোমবার বিকাল ৪টার দিকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া গৃহবধূ বরগুনার লাকুরতলা এলাকার আনোয়ার হোসেন জাফরের স্ত্রী।

এর আগে ২৯ আগষ্ট নিজ বাসা থেকে চিরকুট লিখে নিখোঁজ হয় ঐ গৃহবধূ মুন্নি।

এ ব্যাপারে ৩ সেপ্টেম্বর মুন্নির ছোট বোন রাবেয়া সিদ্দিকা চাঁদনী বরগুনা সদর থানার একটি সাধারণ ডায়রি করেন। যার নম্বর ১৯৯।

সদর থানায় সাধারণ ডায়রিতে ঐ গৃহবধূর বোন চাঁদনী উল্লেখ করেন, জমিজমা সংক্রান্ত ঝামেলা নিষ্পত্তি নিয়ে গত ২৮ আগষ্ট শালিস বৈঠক হয়। উক্ত শালিস বৈঠকে বরগুনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মনির হোসেন আমার বোনকে লোক সমাজে গালিগালাজ ও আজে বাজে কথা বার্তা বলে অপমানিত করে। আমার বোন লজ্জায় ও ঘৃনায় বাসায় একটি চিঠি লিখে রেখে ২৯ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান মনির হোসেনের সাথে দেখা করার কথা বলিয়া বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি।

উদ্ধার হওয়া মুন্নি জানান, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরের ঘৃনিত আচা ব্যবহারের কারণে আমি নিজ ইচ্ছায় লজ্জায় আত্মগোপন করেছি। মনির আমাকে আমার শশুর বাড়ির সহ স্থানীয় শতাধিক মানুষের সামনে আমাকে শুধু শুধু অপমান করেছে ও লাঞ্ছিত করেছে।

তিনি আরো বলেন আমি লজ্জায় আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিন বছরের সন্তানের কথা চিন্তা করে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছি।

বরগুনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মনির হোসেন ঘটনা অস্বীকার করে জানান, উল্টো মুন্নি ও তার পরিবার আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করছে।

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, পাথরঘাটা থানা পুলিশের সহযোগিতায় বরগুনা সদর থানার পুলিশ উদ্ধার করে পাথরঘাটা থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে বরগুনা সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)