আবারো আদালতে হাজির হয়েছে মিন্নী, মামলা আমলে নিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজি এ মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেন।
আজ দুপুর ২টার দিকে শুনানি শুরু হয়। এ সময় নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দীকা মিন্নি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকাল ১০টার দিকে রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যা মামলার তদন্ত শেষে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর মধ্যে ১৪ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং ১০ জন প্রাপ্ত বয়স্ক আসামি।
তিনি আরও জানান, মামলায় যে সকল শিশু-কিশোরকে আসামি করা হয়েছে, তাদের বিচারের কাজ হবে শিশু আদালতে। এ জন্য আগামী ২২ সেপ্টেম্বর শুনানির তারিখ ধার্য্য করেছেন আদালত।
এছাড়া প্রাপ্ত বয়স্ক আসামিদের পরবর্তী শুনানি হবে ৩ অক্টোবর। এই মামলায় যে ৯ আসামি পলাতক রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়োনা জারি করা হয়েছে বলেও জানান মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম।
এর আগে সকাল ৯টার আগেই বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের মোটরসাইকেলে চড়ে আদালতে আসেন মিন্নি। এর পর আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত বাবার সঙ্গেই আদালতের একটি কক্ষে অবস্থান করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয় রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত মিন্নিসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২ জুলাই ভোরে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এখন পর্যন্ত ১০ আসামি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে স্বীকা