উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প মঠবাড়িয়ায় বেড়িবাঁধে বৃক্ষ আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭:৪৮ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মঠবাড়িয়ায় বেড়িবাঁধে বৃক্ষ আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদমঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় বেড়িবাঁধের দুই পাড়ে সৃজিত ৪০০ বনজ গাছ কেটে আত্মসাত করার মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সুফলভোগী এবং গ্রামবাসি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার হোতখালী সিএ-বি বাজার সংলগ্ন বেড়িবাধের ওপর ঘন্ট্যব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় । এতে সৃজিত বৃক্ষের সুফলভোগি ও গ্রামবাসি অংশ নেন।

শেষে স্থানীয় গুলিসাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, হলতা গুলিসাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. রিয়াজুল আলম ঝনো, মুক্তিযোদ্ধা মো. আমীর হোসেন, ইউপি সদস্য মো. ফারুক ফরাজি, যুবলীগ নেতা ফারুক ফরাজি, ওয়াহিদুজ্জামন চুন্নু, সুফলভোগি মো. বেলায়েত হাওলাদার ও হারুণ জমাদ্দার প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০০০ সালে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় মঠবাড়িয়ার হোতখালী বেড়িবাঁধের দুই পাড়ে ২৫ হাজার বৃক্ষ রোপন করে। এ বেরিবাঁধ সুরক্ষায় রেইনিট্র, নিম, তুলা, বকুল, গামার ও গর্জণ গত ২০ বছরে বেড়ে ওঠে। এলাকার ৫০ জন উকারভোগি এসব গাছ টানা ২০ বছর ধরে পরিচর্যা ও সুরক্ষা করে আসছিলেন। সম্প্রতি বেড়িবাঁধ সংলগ্ন একটি খাল পূনঃ খননের সময় ১৪০টি গাছ কর্তন করতে হয়। এসব গাছ উপজেলা বনবিভাগের নির্দেশে সুফলভোগীরা সংরক্ষণ করেন। কিন্তু স্থানীয় একটি মহল ৪০০ গাছ কর্তন ও আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ এনে সম্প্রতি একটি মানববন্ধন করে। প্রতিপক্ষরা গাছ আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। অথচ কর্তনকৃত ১৪০ গাছ বনবিভাগের নির্দেশে সুফলভোগিদের জিম্মায় সংরক্ষিত রয়েছে।

সমাবেশে আরও অভিযোগ করা হয়, গাছ আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ রটনাকারিররা ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে বেড়িবাঁধে সৃজিত ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার গাছ কেটে আত্মসাত করেছে।

প্রসঙ্গতঃ এর আগে বেড়িবাঁধে সৃজিত ৪০০ গাছ কেটে আত্মসাতের অভিযোগ এনে গত মঙ্গলবার দুপুরে মঠবাড়িয়া হোতখালী সিএ-বি বাজার সড়কে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। ওই অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে আজ পাল্টা মানববন্ধন ও প্রবিাদ সমাবেশ করে সুফলভোগী ও গ্রামবাসিরা।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)