পাথরঘাটায় জীবন বাঁচাতে স্কুল শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন ভিডিও সহ)
বরগুনার পাথরঘাটায় নিজের ও ৭ বছরের কন্যা সন্তানের জীবন বাঁচাতে স্ত্রী, শ্যালিকা ও শ্বশুর-শাশুরির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ফরিদুল আলম।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার সময় পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে লিখিত ভাবে অভিযোগেরর মাধ্যমে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ফরিদ আলম পাথরঘাটা উপজেলার মঠেরখাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ছোট টেংড়া গ্রামের সুলতান মাস্টারের ছেলে।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ২৮ মে চরদুয়ানী ইউনিয়নের জ্ঞাপাড়া গ্রামের মজিবুর রহমান ছিকুর মেয়ে রনি বেগমের সাথে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে মিথিলা আক্তার নামের ৭ বছরের একটি কন্য সন্তান হয়। বিবাহের পর থেকেই তার স্ত্রী রনি বেগম পরকিয়া প্রেমে আসক্ত। শ্বশুর ছিপু ধর্ষণ ও বন আইনসহ একাধীক মামলার আসামী, বর্তমানে তিনি জেল হাজতে আছেন। তার শ্যালিকা মুন্নি কলগার্ল। এসবের প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা, ডিবি পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহীনি ব্যাহার করা এবং কন্যা সন্তানটিকে একাধীকবার অপহরন করে জিম্মি করে রেখে আমাকে ও আমার কন্যাকে হয়রানী করছে। এর আগেও তাদের হাতে জিম্মি করা অবস্থায় নির্বাহী আদালতের মাধ্যমে উদ্ধার করা হলেও পূর্নরায় আমার মেয়েকে তারা জিম্মি করেন। তিনি আরো বলেন, সব শেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর আমাকে ও আয়নাল নামের এক ব্যাক্তিকে ডিবি পরিচয়ে এএসআই খাইরুল হাসান ও এএসআই মাহফুজ তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায় এবং ২ লাখ টাকা দাবি করে, তা না দিলে আমাকে ১শ পিচ ইয়াবা দিয়ে মামলা করবে। পরে কার্যালয়ে নিয়ে কয়েক ঘন্টা রেখে ছেরে দেয় বলে ওই অভিযোগে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমার স্ত্রী ও শ্যালিকা মুন্নির ফাঁদ থেকে পাথরঘাটা থানার এসআই গাজী মাহতাব ও এএসআই জাকারিয়া নামের দুই পুলিশ কর্মকর্তা রক্ষা পাননি। তাদের মধ্যে এএসআই জাকারিয়া কিছু দিন আগে আমার শ্যালিকা জন্য পাথরঘাটা থানা থেকে প্রত্যাহার হয়। এর আগে মাহতাবকে ব্লাকমেল করে ২লাখ টাকা কাবিন করে বিয়ে করেন।
এব্যাপারে ফরিদ আলমের শ্বাশুড়ি বকুল বেগম ও শ্যালিকা মুন্নি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা। রনি নারী-শিশু আদালতে মামলা করার কারনে ফরিদ আমাদেরকে হয়রানী করার জন্য এই অভিযোগ করেছে।
এবিষয়ে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ বলেন, ফরিদ আলম নামের ঔ শিক্ষক তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে হয়রানি করার জন্য ডিবি পুলিশকে বলে একটি বাড়িতে ইয়াবা রয়েছে। এসময় তার সহযোগী আয়নাল নামের এক লোক একটি বাড়ি দেখিয়ে দিলে আমরা সেখানে অভিযান চালালে কিছুই পাই না। পরবর্তিতে জানতে পারি ওই শিক্ষক তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে শায়েস্তা করার জন্য এমনটা করেছে। তারপর পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে আসলে পরে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, ঘুষ চাওয়ার যে অভিযোগ করা হচ্ছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্র্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি যতটুকু জানি এএসআই জাকারিয়াকে অফিসিয়াল ভাবেই বদলী করা হয়েছে। এরকমের কোন ঘটনার কথা শুনিনি।