জাতীয় পর্যায়ে আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় মেয়েদের সাফল্য সেরা পাঁচের তিন জনই বরগুনার

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০২:০৬ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

জাতীয় পর্যায়ে আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় মেয়েদের সাফল্য সেরা পাঁচের তিন জনই বরগুনারবরগুনা প্রতিনিধি:
জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় সাফল্য দেখিয়েছে বরগুনার মেয়েরা। সেরা পাঁচ আলোকচিত্রীর মধ্যে তিনজনই বরগুনা জেলার সদর উপজেলার।

সম্প্রতি প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সহায়তায়, স্ট্রেনদেনিং হেলথ আউটকামস্ ফর ওমেন এন্ড চিলড্রেন প্রকল্পের আওতায় জাতীয় পর্যায়ে আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে সারাদেশ থেকে প্রায় শতাধিক প্রতিযোগীর এক হাজারের অধিক ছবির জমা পড়ে। জাতীয় পর্যায়ে উপকূলীয় জেলা বরগুনার মেয়েদের এমন সাফল্য সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

এরা হলেন গুলিশাখালীর খলিলুর রহমান ও ফাতেমা আক্তার দম্পতির মেয়ে লামিয়া, পৌরসভা এলাকার সুজন বালা ও রেবা বালা দম্পতির মেয়ে সুমি বালা এবং হাজার বিঘা গ্রামের জাহাঙ্গীর ও শাহানা বেগম দম্পতির মেয়ে নিরা আক্তার।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ মা ও শিশু স্বাস্থ্য, যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার রক্ষায় পুরুষদের ভূমিকা, অংশগ্রহণ সম্পর্কে ধারণা ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এই আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল জেন্ডার সমতা আনয়নে মা, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবায় পুরুষের অংশগ্রহণ।

লামিয়ার তোলা ছবিতে উঠে এসেছে স্বামী-স্ত্রী একসাথে পুকুরে কাপড় চোপড় পরিস্কার করছে। সুমি বালা তার ক্যামেরায় তুলে এনেছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেডে শুয়ে আছেন স্ত্রী, তার পাশে নবজাতক সন্তানকে কোলে নিয়ে আছেন তার স্বামী। অপরদিকে সন্তানের যত্নআত্তি যে শুধু মায়ের কাজ নয়, এতে বাবাও ভূমিকা রাখতে পারেন তা তুলে ধরেছেন নিরা আক্তার তার তোলা ছবিতে। এতে দেখা যাচ্ছে স্বামী-স্ত্রী এক সাথে সন্তানকে গোসল করাচ্ছেন।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এই আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার নির্বাচিত ৬০টি ছবি নিয়ে আজ বরগুনা জেলার শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। জেলার সিভিল সার্জন ডা: মো: হুমায়ূন শাহীন খান এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)