মঠবাড়িয়ায় সেই গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা (ভিডিও)
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ১৯ বছর বয়সী এক গৃহকর্মীকে পালাক্রমে গণধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নির্যাতিত ওই মেয়েটির ডাক্তারি সনদের জন্য তাকে পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহপরিচারিকা বাদী হয়ে গতকাল রবিবার রাতে নামীয় তিনজন ও অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলায় উপজেলার দাউদখালী গ্রামের আফজাল খানের ছেলে সুমন খান(২২), ছালাম হাওলাদারের ছেলে ইমরান হাওলাদার(২০) ও জিয়াম হাওলাদারের ছেলে রাজু হাওলাদার (২৫) এর বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দাউদখালী গ্রামের ওই তরুণী পার্শ্ববর্তী দেবত্র গ্রামের গৃহস্থ আজাদুর রহমানের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিলেন। অভিযুক্ত আসামিরা প্রায়ই আসা-যাওয়ার পথে ঘাটে তাকে উত্ত্যক্ত করে নানা কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে দেবত্র গ্রামের গৃহকর্তার বাড়িতে কাজ করতে যাচ্ছিল সে। পথে সংঘবদ্ধ আসামিরা মেয়েটির পথরোধ করে তার মুখে কাপড় চেপে স্থানীয় সাতঘর সরকারি ক্লিনিকের ছাদের ওপরে নিয়ে য়ায়। সেখানে বখাটে ইমরান হাওলাদার প্রথমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরে সুমন খান ও রাজু হাওলাদার মেয়েটিকে আটকে রেখে সারারাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রাত দেড়টার দিকে মাছ শিকারে যাওয়া আব্দুর রহমান নামে এ ব্যক্তি ক্লিনিকের ছাদে কান্নাকাটির শব্দ শুনতে পেয়ে এগিয়ে যান। এরপর ক্লিনিকের ছাদে তিনি টর্চলাইট মারতেই আসামিরা অসুস্থ মেয়েটিকে ফেলে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে মাছ শিকারী আব্দুর রহমান ক্লিনিকের ছাদ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লাহ জানান, গৃহকর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।