সাগরে মাছ না পাওয়ায়: বাড়ির বাজারের টাকা চাইলে জেলেকে মারধর
কয়েক ট্রিপে সাগরে মাছ না পাওয়ায় বাড়িতে বাজার সদয় দিতে ট্রলার মালিকের কাছে টাকা চাওয়ার অপরাধে মো. ছগির হোসেন গাজী (৩৪) নামের এক জেলেকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ট্রলার মালিক মো. সুজন হাওলাদার ও খলিল মাঝির বিরুদ্ধে। ছগির উপজেলার ছোট পাথরঘাটা গ্রামের আ. কুদ্দুস গাজীর ছেলে।
বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল মিয়া আহত জেলেকে শুক্রবার (১৩ সেপ্টে¤¦র) রাতে পাথরঘাটা উপজেলা স¦াস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য জন্য পরামর্শ দেন। এর আগে গত ৯ সেপ্টে¤¦র পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ন¤¦র ওয়ার্ডের হাওলাদার বরফ কলের কার্যালয়ে এ মারধর করা হয়েছে বলে ছগির হোসেন জানান।
আহত জেলে মো. ছগির হোসেন জানান, পুরো মৌসুম সুজনের মালিকানা এফবি হাওলাদার ট্রলারের বাবুর্চি হিসেবে কাজ করার জন্য ১৫ হাজার টাকা দাদন আনেন তিনি। কয়েকটি ট্রিপ দেওয়ায় তেমন মাছ না পাওয়ার কারণে ভাগের টাকা না পাওয়ায় বাড়িতে বাজার সদয় দিতে ট্রলার মালিক সুজনের কাছে ৫শ টাকা চান। কিন্তু ট্রলার মালিক সুজন হাওলাদার টাকা না দিয়ে তাকেসহ পুনরায় সাগরে ট্রলার পাঠানোর জন্য বাজার সদয় করে ছগিরকে সাগরে পাঠানোর জন্য চাপ দেয়। গত ৯ সেপ্টে¤¦র মালিক সুজন ও মাঝি খলিল ছগিরের বাড়িতে গিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে এনে হাওলাদার বরফ মিলে নিয়ে এসে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে দুইশ টাকার ওষুধ দিয়ে ছগিরকে সাগরে পাঠায়। পরে সাগর থেকে ১২ সেপ্টে¤¦র ফিরে আসার পরে বিষয়টি জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নে গিয়ে জানালে সমিতির মাধ্যমে ছগিরকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছগির হোসেন গুরুতর আহত হয়ে সমিতিতে আসলে আমি তাৎক্ষনিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য পরামর্শ দেই। ছগিরের বুকে ও হাতে আঘাত রয়েছে বলেও তিনি জানান। ট্রলার মালিক মো. সুজন বলেন, ছগির সাগরে গিয়ে ঠিক মতো জাল বাইচ করেনা, সেই কারণে ওকে কয়েকটি ধাক্কা মেরেছি মাত্র। তারপরেও আমি ছগিরকে চিকিৎসার জন্য বারবার আমার কাছে আসতে বললেও তিনি আসেনি।
এ ব্যপারে পাথরঘাটা উপজেলা স¦াস্থ্যকমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক নিতাই চন্দ্র ঘোষ বলেন, ছগিরের বাম হাতে আঘাত রয়েছে এবং পুড়ো হাত ফুলা দেখা যায়। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং এক্সরে দেয়া হয়েছে।