পাথরঘাটায় জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব, কোনো শ্লীলতাহানি ঘটনা ঘটেনিঃ অভিযুক্ত আল আমিন
পাথরঘাটা উপজেলার মঠেরখাল গ্রামে মাদ্রাসা ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত আল আমিন। এ নিয়ে কথা হয় পাথরঘাটা নিউজ এর সাথে।
আল আমিন আকন বলেন, আলমগীর হোসেনের সাথে তার বাবা বাবুল আকনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে ঘটনার আগেও আলমগীর হোসেনের সাথে আমার বাবার কথা হয় যাতে করে আমাদের কে জমি বুঝিয়ে দেয়। এতে রাজিও হয় আলমগীর হোসেন। কিন্তু আজ কাল বলে ঘুরালে আমরা ঐ জমিতে চাষ করে ধানের বীজ বপন করেছি।
আল আমিন আকন আরো জানান, সেই জমিতে বপন করা বীজ গরু দিয়ে ক্ষতি করে প্রতিপক্ষ। এ নিয়ে ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে তিনটায় দিকে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আলমগীর হোসেন আমাদের উপর চড়াও হলে উভয়ের মধ্যে মারামারিতে রুপ নেয়।
শ্লীলতাহানির চেষ্টা করার বিষয়ে জানতে চাইলে আল আমিন আকন বলেন, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাস্থলে অনেক স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারবেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আলমগীর হোসেন ও বাবুল আকনের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে শ্লীলতাহানি কোনো ঘটনা তাদের চোখে পরেনি।
স্থানীয় আলী আজিম খান জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির সময় ঐ মাদ্রাসা ছাত্রীর গায়ে আঘাত লাগতে পারে। তবে তা শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে নাও হতে পারে।
এব্যাপারে আলমগীর হোসেনের ছেলে আল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বোন মাঠ থেকে গরু আনতে গেলে সেখানে আল আমিন আকন তাকে জাপটে ধরে। এক পর্যায়ে নিচ পেটে লাথি মারে। এতে তার অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হয়েছে।
উল্লেখ্যঃ গত ৩১ আগষ্ট বিকেলে পাথরঘাটা উপজেলার মঠেরখাল গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আলমগীর হোসেন ও বাবুল আকনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আলমগীর হোসেনের মাথায় ১৫ টি তার ছেলে আল আমিন এর মাথায় ৭ টি এবং বাবুল আকনের মাথায় ২ টি সেলাই করা। আলমগীর হোসেন অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আলমগীর হোসেনের পরিবার থেকে তার মেয়ের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ করেন।